চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার কোরবানীগঞ্জ এলাকার বাসায় ঢুকে ছুরিকাঘাতে গৃহবধূ রোকসানা আক্তারকে (৪০) খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মো. সোহেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালতে সোহেল জবানবন্দি দেন। আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করার পর সোহেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বুধবার ভোররাতে পুলিশ সোহেলকে কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সোহেল নিহত রোকসানার স্বামী আবুল কাশেমকে মামা ডাকতেন। সোহেল চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী ঈদ পুকুরিয়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সোহেল। জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন, রোকসানাকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে চেয়েছিলেন সোহেল। রোকসানা টাকা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উপুর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করেন। মারা যাওয়ার পর মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলার জন্য খাটে আগুন ধরিয়ে দেন। রোকসানার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর বাসা থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল, তেল, গমের ডিও এবং স্বর্ণালংকার ব্যাগে ভরে নেন বলে জবানবন্দিতে সোহেল উল্লেখ করেন।’
তিনি বলেন, ‘হত্যার পর বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আবদুস সোবহান নামে এক পথচারী বাধা দিলে তাকেও ছুরিকাঘাত করেন। সেখান থেকে পালিয়ে এসে খাতুনগঞ্জের আমির মার্কেট এলাকার একটি ভবনে লুকিয়ে থাকেন। সন্ধ্যায় খাতুনগঞ্জ থেকে বের হয়ে মইজ্জারটেক এলাকায় গিয়ে ১ হাজার ৮০০ টাকায় নতুন বাসা ভাড়া নেন। পরে ফোন করে স্ত্রীকে মইজ্জ্যারটেক এলাকায় আসতে বলেন। সেখান থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন সোহেল।’
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার কোরবানীগঞ্জ এলাকার আমিন বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় বাসায় ঢুকে ছুরিকাঘাতে গৃহবধূ রোকসানা আক্তারকে হত্যা করে। এ ঘটনায় বাধা দেওয়ায় রোকসানার ছেলে আব্দুল আজিজকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। হত্যার পর মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার