চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানার পর ক্ষয়ক্ষতি কমাতে নগরের পতেঙ্গা উপকূলের লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাইকিং করে এ আহবান জানানো হচ্ছে। তাছাড়া আজ সন্ধ্যায় চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন পতেঙ্গা উপকূল সরেজমিন পরিদর্শনকালে তিনি নিজেও মাইকিং করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, রেড ক্রিসেন্টের সহ-সভাপতি ডা. শেখ শফিউল আজম, কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ প্রমুখ।
সিটি মেয়র বলেন, ‘নগরবাসীকে সহায়তা দিতে চসিকের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ও সেবা পেতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে (টেলিফোন নম্বর ৬৩০৭৩৯, ৬৩৩৪৬৯) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সামগ্রিক বিষয়ে আমরা প্রস্তুত আছি।’
চসিক সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় চসিকের পক্ষে ৪৩টি ডাম্প ট্রাক, ৫টি পে লোডার, ৮টি স্কাই লিফট, ৬টি পানিবাহী ভাউচার, ৫টি পানিবাহী টেম্পু, ১৮টি পানিবাহী ভ্যান, ৫টি অ্যাম্বুল্যান্স, ২টি ব্রেক ডাউন, ১টি বুলডোজার, ১৫টি মাইক্রো, কার, ডাবল কেবিন পিকআপ, ১৬টি সিএনজি অটোরিকশা, ২টি সুপার পাওয়ার গাছকাটার মেশিন, ৪টি বড় আরা, ৬টি ছোট হাত-আরা, ১০টি দা, ১০ কেজি দড়ি, ১০টি রেইন কোট ও ৪টি কুড়াল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রামে ২৮৪টি মেডিকেল টিম মাঠে
ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে ২৮৪টি মেডিকেল টিমের ৮৫২ জন স্বাস্থ্যকর্মী মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব মেডিকেল টিম নির্ধারিত স্থানে সেবা দিবে।
সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, প্রত্যেক উপজেলায় ৫টি করে মোট ৭০টি, প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে ২০০টি, আরবান ডিসপেনসারি ও জেনারেল হাসপাতালসহ ২৮৪টি মেডিকেলে টিম কাজ করছে। এসব মেডিকেল টিম ২৪ ঘণ্টা সেবা দিবে। এ ছাড়া সরকারি সব চিকিৎসাকেন্দ্রের চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রোস্টার অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছেন। চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। মজুদ আছে পর্যাপ্ত ওষুধসহ যাবতীয় সরঞ্জাম ও শুকনো খাবার।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন