বেদখলে যাওয়া চট্টগ্রাম নগরীর খালগুলোর উদ্ধারে অভিযানে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘মেগাপ্রকল্প’ বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
শনিবার সকালে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃ খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড দামপাড়া আর্মি ক্যাম্পে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, মেগাপ্রকল্পের আওতাধীন খালগুলোর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শিগগির শুরু করবে সেনাবাহিনী। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া যত্রতত্র ময়লা ফেললে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অবৈধ দখলদার ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে উল্লেখ করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী বলেন, আমরা এ নিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবো। এরপর যারা এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা কিংবা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, অনেক খাল থেকে ময়লা অপসারণ করা হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন পর আবারও খালগুলো ময়লায় ভরাট হচ্ছে। এক্ষেত্রে জনসচেতনতা জরুরি। স্থানীয়ভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একাধিক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতার প্রকোপ কমাতে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নিয়ে চার ধাপে বৈঠক করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে তাদের পরিকল্পনাগুলো জমা দিতে বলা হয়েছে।
সভায় স্লাইড শো-এর মাধ্যমে জলাবদ্ধতার ১২টি কারণ, প্রকল্পের আওতায় ৮টি কাজ ও চলমান কাজের সর্বশেষ তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে ময়লা না ফেলার জন্য জনসচেতনা তৈরি, জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজ বা কালভার্ট থেকে ইউটিলিটি লাইন অপসারণ, সমন্বয়ের মাধ্যমে অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও জলাবদ্ধতা সমস্যা স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে প্রস্তাবিত ৪০টি টাইডাল রেগুলেটর একই সঙ্গে নির্মাণের সুপারিশ করা হয়।
সভায় ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল আবু সাদাত মোহাম্মদ তানভীর, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, অন্যান্য প্রকল্প কর্মকর্তা ও সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
