মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক মাছ আহরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে এসে জেলেদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে মতবিনিময় সভা শেষে জেলেদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।
সার্কিট হাউজে আগামী ২০ মে থেকে ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক মাছ আহরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভের সময় জেলেরা ‘মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা, মানি না মানবো না’ স্লোগান দিয়ে প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি আটকে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশের সহায়তায় তিনি সার্কিট হাউজ থেকে বের হয়ে যান।
প্রতিমন্ত্রীর পেছনের গাড়িতে থাকা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের গাড়ি থামিয়ে জেলেদের সঙ্গে কথা বলেন। মাছ আহরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বিকল্প ব্যবস্থা এবং সহায়তার আশ্বাস দেন।
উত্তর চট্টলা উপকূলীয় মৎস্যজীবী জলদাস সমবায় কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি লিটন দাস বলেন, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ৬৫ দিন সমুদ্রে সব ধরনের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। কিন্তু জেলে পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চট্টগ্রামের প্রায় ৫০ হাজার পরিবারের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। আমরা মাছ ধরে দৈনিক যা আয় করি, তা দিয়েই সংসার চালাই। ৬৫ দিন যদি মাছ ধরা বন্ধ থাকে, তাহলে এতোগুলো পরিবার চলবে কীভাবে? আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই, মাছ আহরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা পুনরায় বিবেচনা করে জেলেদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিতে।
এর আগে সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে ‘২০ মে হতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক মৎস্য ও ক্রাস্টাশিয়াল আহরণ বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বিষয়ক’ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, ‘মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধির স্বার্থেই ৬৫ দিন মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। এই সময়টুকু কষ্ট করলে সারা বছর আমরা এর সুফল ভোগ করতে পারব।’
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন