চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বন্যগরু প্রজাতির গয়ালের ঘরে এসেছে নতুন অতিথি। সোমবার ভোরে চিড়িয়াখানায় থাকা স্ত্রী গয়ালটি সুস্থ-সবল একটি শাবক জন্ম দেয়। বর্তমানে এটি সুস্থও আছে।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে পটিয়ার মইজ্জারটেক এলাকা থেকে একটি পুরুষ গয়াল জব্দ করে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করে প্রশাসন। এরপর ২০১৮ সালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় একটি স্ত্রী গয়াল ক্রয় করা হয়েছিল। এ গয়ালটি ১০ মাস গর্ভবতী থাকার পর গতকাল সোমবার সকালে একটি শাবক প্রসব করে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘সকালে স্ত্রী গয়ালটি একটি শাবক জন্ম দেয়। এটি এখন সুস্থ আছে, মায়ের দুধ পান করে খেলাধুলা করছে। এ শাবকের প্রয়োজনীয় সব যত্ন এবং চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।’
জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মানুষের বিনোদন, শিশুদের শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য নগরের খুলশিস্থ ফয়েজ লেকের পাশে ৬ একর জমির উপর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে সেখানে ৬৭ প্রজাতির সাড়ে তিন শতাধিক পশু-পাখি আছে। চিড়িয়াখানায় আছে দেশের একমাত্র দুর্লভ সাদা বাঘ, জেব্রা, সিংহ, হরিণ, ভালুক, বানর, কুমির। আছে ন্যাচারাল মিনি এভিয়ারি (পক্ষীশালা)। ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৫ ফুট প্রস্থের পক্ষীশালায় আছে ৬ প্রজাতির ৩০০ পাখি। পাখির মধ্যে আছে, লাভ বার্ড ২০ জোড়া, লাফিং ডাভ ৫০ জোড়া, ফিজেন্ট ১০ জোড়া, রিংনেড পারোট ১০, কোকাটেইল ৫০ ও ম্যাকাও ১ জোড়া। রয়েছে শিশুদের জন্য আলাদা কর্নার।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার