স্মাটফোনের লোভেই বন্ধুর হাতে খুন হন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির কিশোর সাব্বির উদ্দিন ইকন। এ খুনের সাথে জড়িত থাকা অভিযোগে বন্ধু তনয় বড়ুয়া তনাকে গ্রেফতারের পর বের হয় এ খুনের আসল রহস্য। গ্রেফতারের পর তনা খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবাবন্দি দেন।
মঙ্গলবার সকালে ফটিকছড়ি থানায় এ বিষয়ে ব্রিফিং করেন হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল আল মাসুম। গ্রেফতার হওয়া তনা উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের বাবন বড়–য়ার ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল আল মাসুম বলেন, ‘বেশ দিন ধরে দেনাদাররা তনাকে ঋণের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছিল। ঋণ শোধ করতে বন্ধু ইকনের স্মার্ট মোবাইলের দিকে নজর পড়ে। ঘটনার দিন জন্মদিনের কেক কাটার কথা বলে ইকনকে নিয়ে যায়। এরপর ছুরি দিয়ে ইকনকে গলা কেটে হত্যা করে। খুনের পর নিয়ে যায় স্মার্ট ফোন ও টেলিভিশন।
আমাদের ফটিকছড়ি প্রতিদিনি জানান, গত ২৭ জুলাই ফটিকছড়ি বাজার থেকে তনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে মোবাইল, ছুরি এবং ভিকটিমের টেলিভিশন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া তনা ঘটনার দায় স্বীকার করে ২৯ জুলাই আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দিয়েছে। ৩০ জুলাই ব্রিফিং করে এ খুনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই টেলিভিশন মেরামত করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ইকন। একদিন পর চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি সড়কের পাইন্দং নতুন মসজিদ সংলগ্ন আকাশি বাগানে গলা কাটা অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার