চট্টগ্রামে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কেলেঙ্কারির ঘটনার মামলায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তিন অস্থায়ী কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তিন অস্থায়ী কর্মচারী হলেন মো. শাহীন (২৯), জাহিদ হাসান (৩৩) ও পাভেল বড়ুয়া (২৮)। এদের মধ্যে শাহীন কোতোয়ালী থানা নির্বাচন কর্মকর্তা, পাভেল ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জাহিদ বন্দর থানা নির্বাচন কর্মকর্তার অধীনে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু ছালেহ মো. নোমান এই আদেশ দিয়েছেন বলে জানান চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি-প্রসিকিউশন) কাজী মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন। শুনানির পর আদালত দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর লাভ লেনে আঞ্চলিক সার্ভার স্টেশন থেকে চার কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজ কার্যালয়ে নিয়ে যান তদন্তকারী সংস্থা সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া। এদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হলেও একজনের বিরুদ্ধে কোন ধরণের প্রমাণ না থাকায় ছেড়ে দেয়া হয়। পরে ২৩ সেপ্টেম্বর ওই তিনজনকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব