পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে গোডাউনেই ক্রয়-বিক্রয় মূল্য তালিকা টাঙিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভিন্ন গোডাউনেই সামনে পেঁয়াজের মূল্য তালিকা টাঙিয়ে দেন।
তালিকা মতে, প্রতিকেজি ৬৫ টাকায় ক্রয় করা পেঁয়াজ ৭০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মির্জাপুর ইউনিয়নের সরকারহাট বাজার, ধলই ইউনিয়নের কাটিরহাট বাজার এবং নয়াহাট বাজারসহ বিভিন্ন আড়ত ও খুচরা দোকানে তালিকা টাঙানো হয়।
এরআগে গত বুধবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত হাটহাজারী পৌরসভার মুরগীহাটা এলাকায় আমির হোসেনের মালিকানাধীন একটি রড সিমেন্টের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ৫ টন পেঁয়াজ জব্দ করা হয়। বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এই বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ করায় ব্যবসায়ী আমির হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ‘অভিযানের পর কয়েকটি আড়তে মূল্য তালিকা টাঙানো ছিল। ৬৫ টাকায় কেনা পেঁয়াজ ৭০ টাকায় বিক্রি করছেন। অনেক আড়ত ও দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় তাদের সতর্ক করা হয়েছে এবং মূল্য তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে, দেশের প্রধান ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পিঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। গত বুধবার মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, ভারতের পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা এবং তুরস্কের পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা।
তবে পাইকারি বাজারে পিয়াজের দাম কমলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েনি। নগরের চকবাজার, বহদ্দারহাট, বক্সির হাট বাজারে ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। এসব বাজারে এখনো মিয়ানমার ও ভারতের প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৯০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তারা বলছেন বেশি দামে কেনার কারণে কম দামে বিক্রি করতে পারছেন না।
খাতুনগঞ্জের হামিদ উল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর বুধবার ভোরে ভারতের পেঁয়াজ বোঝাই ৫টি ট্রাক খাতুনগঞ্জে আসে। প্রতি ট্রাকে ১৩ টন পেঁয়াজ ছিল। অন্যদিকে মিয়ানমার থেকে ৭ ট্রাক পেঁয়াজ এসেছে। প্রতিটিতে ছিল ১৫ টন।’
তিনি বলেন, ‘একসময় সারা দেশে চট্টগ্রাম থেকে ভোগ্যপণ্য সরবরাহ করা হতো। কিন্তু পেঁয়াজের ব্যবসাটা ভোমরা, হিলিসহ ভারতের স্থলবন্দর কেন্দ্রীক হয়ে পড়ে। সেখানকার বেপারিরা এখানে ট্রাক ভরে পেঁয়াজ নিয়ে আসে। এরপর আড়তে ভাগ করে দেন। বিক্রির পর আমাদের কমিশন দিয়ে টাকাটা নিয়ে যান। এখন বহদ্দারহাট, পাহাড়তলী বাজার, হাটহাজারী, কেরানি হাট, টেকনাফসহ বিভিন্ন জায়গায় পেঁয়াজের আড়ত হয়েছে। শুধু খাতুনগঞ্জে সীমাবদ্ধ নেই ব্যবসা।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার