কুকুরের মুখ থেকে রক্ষা করা হয় এক কন্যা নবজাতককে। সেই নবজাতক বড় হচ্ছিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। পক্ষান্তরে হাসপাতালেই ছিল ফেলে যাওয়া এবং অজ্ঞাত আরো দুই শিশু। তিনটি শিশুই হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স ও রোগী কল্যাণ সমিতির তত্ত্বাবধানে বেড়ে ওঠছিল। অবশেষে এ তিন শিশুর ঠাঁই হলো ছোটমনি নিবাসে। আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে দুপুরে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে নগরের রউফবাদে অসহায় শিশুদের সরকারি আবাসস্থল ছোটমনি নিবাসে হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, গত ২১ আগস্ট নগরের বাদামতল এলাকায় তিনটি কুকুর একটি নবজাতককে নিয়ে কাড়াকাড়ি করছিল। এমন অবস্থায় পুলিশের উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান কুকুরের মুখ থেকে উদ্ধার করে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর থেকে শিশুটি হাসপাতালে বড় হচ্ছিল। অন্যদিকে, নগরের বন্দরটিলা এলাকার আবদুর রশিদের বাড়ির বাসিন্দা নিলুফার নিজ ছেলেকে গত ১৬ আগস্ট চমেক হাসপাতালের ৩২ নং নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করান। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মা তাকে ফেলে চলে যায়। এরপর থেকে শিশুটি হাসপাতালে বড় হচ্ছি। তাছাড়া গত ২৫ আগস্ট চমেক হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় কুড়িয়ে পাওয়া অজ্ঞাত কন্যা সন্তানকে। আজ এ তিন শিশুকে সমাজসেবা অধিদফতর চট্টগ্রামে পরিচালনাধীন ছোটমনি নিবাসের উপ-তত্ত্বাবধায়ক নুরুননাহার জান্নাতির নিকট হস্তান্তর করা হয়।
চমেক হাসপাতালের সমাজসেবা অফিসার ও রোগীকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ সাহা বলেন, ‘তিনটি শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স ও রোগী কল্যাণ সমিতির তত্ত্বাবধানে বড় হচ্ছিল। আজ তাদের ছোটমনি নিবাসে হস্তান্তর করা হয়। এ ছোটমণি নিবাসে বর্তমানে আরও ৪০টি শিশু প্রতিপালিত হচ্ছে।’ তিনি বলেন, শিশুগুলোকে প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা হয়। কিন্তু সুস্থ শিশু হাসপাতালের অসুস্থ শিশু রোগীর সঙ্গে থাকার কারণে তারা আবারো অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমরা মনে করি, এখন শিশুগুলো সরকারি নিবাসে সুষ্ঠু ও সুস্থভাবে বড় হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার