২০ নভেম্বর, ২০১৯ ১৮:২৬

চট্টগ্রামে ধর্মঘটের কারণে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামে ধর্মঘটের কারণে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ

বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামেও ধর্মঘটের কারণে সব ধরনের পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকেও পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যান বের করতে দেয়নি ধর্মঘটিরা। তবে বন্দর থেকে কনটেইনার পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইম মুভার বা ট্রেইলার ও গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাইম মুভার মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক।

নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে সারা দেশের মতো পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার ভোর ৬টা থেকে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ রেখেছেন চালক ও শ্রমিকরা। নগরের মাদারবাড়ী, কদমতলী, নিমতলাসহ বিভিন্ন সড়কের আশপাশে, ট্রাক টার্মিনালে অলস বসে আছে পণ্যবাহী গাড়ি। জেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি মনির আহমদ পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল না করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধের কারণে আমদানিকারক, তৈরি পোশাক শিল্প মালিক, রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ সংশ্লিষ্টরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সাধারণ ভোক্তাশ্রেণিও সংশয় জানিয়েছেন পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধের কারণে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে দামে এর প্রভাব পড়বে কি না তা নিয়ে। তাদের মতে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম দিয়েই সব ধরনের পণ্যের ৯০ শতাংশ আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। চট্টগ্রাম থেকেই এসব পণ্য দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে সরবরাহ হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ ক্লিয়ারিং এ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিএ্যান্ডএফ) এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, পণ্য পরিবহনে এই ধর্মঘট দির্ঘায়িত হলে এর প্রভাব দেশের সামগ্রীক আমদানি-রপ্তানি তথা অর্থনীতির উপর পড়বে। একদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ পণ্য সরবরাহ চেইন বিনষ্ট হবে, অন্যদিকে আমদানি-রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির স্বাভাবিকতা ব্যাহত হবে। তাই পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বসে দ্রুত এর সমাধান করতে হবে।

এদিকে ভোর ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু হলে সকাল ৮টার দিকে নগরীর নাসিরাবদ, কালুরঘাট বিসিক শিল্পাঞ্চল, বহদ্দারহাট মোড়, চট্টগ্রাম বন্দরের নিমতলা, আগ্রাবাদ, সিমেন্ট ক্রসিং, অলংকার মোড়, সাগরিকা বিসিক শিল্পাঞ্চলের মুখে ধর্মঘটিরা পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে বাধা দিয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে বন্দরের নিমতলা এলাকায় পোর্ট কানেকটিং রোডের মুখে একদল পরিবহন শ্রমিককে বন্দর থেকে বের হওয়া ২টি পণ্যবাহী ট্রাককে বাধা দিয়েছে। পরে ট্রাক ২টি পুণরায় বন্দরের ২নং গেইটের কাছে গিয়ে পার্কিং করতে বাধ্য হয়। 

তৈরি পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত এসএমটেক্সট-এর মালিক স্বপন মজুমদার বলেন, এই ধমঘটের কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে গার্মেন্ট সেক্টর। দেশের বিভিন্ন স্থানে তৈরি পোশাক কাভার্ড ভ্যানে চট্টগ্রামে বেসরকারি ডিপোতে আসে। সেখান থেকে কনটেইনারে লোড করে শিপমেন্টের জন্য আনা হয়। এ ছাড়া বন্দরে আসা আমদানি পণ্য এবং লাইটার জাহাজ থেকে নামানোর পর বিভিন্ন প্রতিদিন অন্তত ৫ থেকে ৬ হাজার ট্রাক-কাভার্ডভ্যানে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছানো হয়। ধর্মঘটের কারণে এখন তা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।  

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর