নির্বাচন খেলার মাঠ উল্লেখ করে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বীতা আছে। সবাই চায় জিততে। ছোটখাটো কিছু অভিযোগ থাকবেই। এগুলো থাকা মানেই নির্বাচন হচ্ছে। বড় কিছু ঘটেনি। তিনি বলেন, বড় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের বলব কোনো সহিংসতা যেন না হয়। জানমালের ক্ষতি হয় এমন কিছু করতে দিবেন না। অভিযোগের প্রমাণ মিললে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত এই আসনের উপ-নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তাছাড়া ইভিএম এ কোন ধরণের শংকা নেইও বললেন তিনি। এর আগে দুপুরে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সাথে লাভ লেইন এলাকায় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সভা করেন শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, গত জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম এর যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে চট্টগ্রাম-৯ আসনের অনেক কেন্দ্রে ভোট প্রদান বাধাগ্রস্থ হয় উল্লেখ করে চট্টগ্রাম-৮ ইভিএম ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ইভিএমে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে, রূপগঞ্জে ৭০ শতাংশের বেশি। ইভিএম নট ইস্যু। আপনারা চাইলে ইভিএম মেশিন পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। চট্টগ্রাম-৮ আসনে শংকার কারণ নেই। ইভিএম সুষ্টু করতে ভোটারদের কাছে পরিচিত করছি। যদি ফেসবুক, ইন্টারনেট, এনড্রয়েড ফোন যারা চালাতে পারে, এতে ইভিএম কষ্টের কিছু না। সবাইকে উৎসাহিত করা উচিত। আমরা চাই একটা সুষ্ঠু, অবাধ ও আইনানুগ নির্বাচন। সেটা ইভিএম এর মাধ্যমে। এজন্য আজ থেকে ওই আসনের ৫৩টি জনসমাগমের স্থানে ইভিএম প্রদর্শন করা হবে। এতে ইভিএম পরিচিতির জন্য, যাতে ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা-ভয় না থাকে। এই আসনের প্রতিটি কেন্দ্রে দুই দিন আগে (১১ জানুয়ারি) মক ভোটিং হবে। ভোটারদের অনুরোধ করবো সময় পেলে নিজস্ব কেন্দ্রে গিয়ে মক ভোটিং এ অংশ নিন। তাছাড়া সবকিছুর দায়ভার ইভিএম’র উপর না দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নির্বাচন সংস্কৃতির দিকে নজর দিলে ভালো হবে এবং রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা নির্বাচনে আসেন। সুতরাং ভালো নির্বাচনের জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী, ভোটার, গণমাধ্যমকর্মী, সিভিল সোসাইটি সবার ভূমিকা আছে। তবে র্যাব-পুলিশ-আনসার-বিজিবি, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে বলেছি- কোনো অঘটন যেন না ঘটে। সুনির্দিষ্ট কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি যেন কোনো দুর্ঘটনা বা প্রাণহানি না হয়। ভোট দিয়ে যেন ভোটাররা নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারে এবং ভোটের পরও যেন নিরাপদ থাকতে পারে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন। এসময় বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন