এমবিবিএস ডিগ্রি নেই, অথিচ তিনি মেডিসিন, প্রসূতি, মহিলা রোগ বিশেষজ্ঞ, শিশু বিশেষজ্ঞ, সাধারণ সার্জারি বিশেষজ্ঞ। চিকিৎসাও দিচ্ছেন রোগীদের।
এর মধ্যে একজন ছিলেন টেকনিশিয়ান, অথচ তিনি এখন বিশেষজ্ঞ ‘মহিলা দন্ত চিকিৎসক’। অপরজন পূর্বে ছিলেন আয়া, অথচ এখন প্রসূতি পরামর্শক। খুলেছেন ক্লিনিক-চেম্বার। প্রসূতিদের নিয়মিত ডেলিভারিও করে আসছেন। হয়ে ওঠেছেন মহাবিশেষজ্ঞ।
চিকিৎসকের নাম-পদবি ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে এমন প্রতারণা করে আসছেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সরকারহাট এলাকার ডিসি রোডের মহাজন মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ক্লিনিক-চেম্বার থাকা কথিত চিকিৎসক- এম ফয়েজ আহমেদ মিলন, রাজিয়া সুলতানা পিংকি, মমতাজ কামাল ও মীরা মল্লিক।
মঙ্গলবার দুপুরে এ ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন। অভিযানে ভুয়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে প্রতারণা করায় এম ফয়েজ আহমেদ মিলন ও রাজিয়া সুলতানা পিংকিকে ২৫ হাজার করে ৫০ হাজার টাকা এবং মমতাজ কামালকে ১০ হাজার ও মীরা মল্লিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাছাড়া তিনটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘অভিযানে দেখা যায় তিনটি ক্লিনিক খুলে বিভিন্ন ব্যক্তি নিজ নামের সঙ্গে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে বিশেষজ্ঞ হয়ে নানা ধরনের চিকিৎসার নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। এমবিবিএস ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও মেডিসিন, প্রসূতি, মহিলা রোগ বিশেষজ্ঞ, শিশু বিশেষজ্ঞ, সাধারণ সার্জারি ইত্যাদি শব্দ যোগ করে চিকিৎসা করে আসছেন। টেকনিশিয়ান হয়েও ‘মহিলা দন্ত চিকিৎসক’ পদবি ব্যবহার করেও মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। আয়া হিসেবে কাজ করে এখন হয়ে গেছে প্রসূতি পরামর্শক। নিয়মিত ডেলিভারিও করাচ্ছেন। ভুয়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে প্রতারণার করার অপরাধে বাংলাদেশ মেডিসিন এবং ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ এর ২৯ ধারায় তাদেরকে জরিমানা এবং কথিত ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল