‘যেকোনো দুর্যোগ, দুর্ঘটনায় উৎসুক কর্মী হয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দৃশ্য দেখা কোনো মতেই উচিত না। বরং প্রত্যেককেই উদ্ধার কর্মী হয়ে প্রয়োজনীয় কাজে আত্মনিয়োগ করা জরুরি। কারণ যে কোনো দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজের সময় উৎসুক জনতাকে সরানোটাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।’
‘অগ্নিনির্বাপণ, উদ্ধার কার্যক্রম ও প্রাথমিক চিকিৎসা’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সোমবার স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সামাজিক সংগঠন কল্যাণের উদ্যোগ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস নন্দন কানন স্টেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত প্রশিক্ষণশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন।
নন্দন কানন ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন আফিসার মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের উপ আঞ্চলিক পরিচালক শাহিন আক্তার, সহকারী পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক সুলতান মো. আলী খান, আয়োজক সংগঠন কল্যাণের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আরিফ উদ্দীন এবং সচিব আবদুল্লাহ আল মুমিন প্রমুখ। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কল্যাণের ৭২ জন সদস্যকে অগ্নিনির্বাপণ বিষয়ে তাত্তি¡ক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ দেন নন্দন কানন স্টেশনের মোনায়েম বিল্লাহ, শাহাদাত হোসেন, কাজী আরিকুল হক ও আব্দুর রহমান।
প্রশিক্ষেণের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নুর হোসাইন, টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি বেলায়েত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, অসাবধতাই অগ্রিকান্ডের অন্যতম প্রধান কারণ। তাই অন্যকে উদ্ধার করতে হলে আগে নিজকেই প্রশিক্ষিত হতে হবে। আজকের উদ্যোগটি অবশ্যই প্রশংসনীয়। তাছাড়া প্রশিক্ষণার্থীরা আগামীতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারবেন। দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে গিয়ে নিজে নিরাপদ থাকেন। একই সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের কাজে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী উৎসুক জনতাকে সচেতন করবেন।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল