চট্টগ্রাম জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের ২৪ ঘণ্টার দেয়া নির্দেশনা ১৪ দিনেও বাস্তবায়ন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনের। চলছে, হচ্ছে, চলমানেই সীমাবদ্ধ।
চসিকের নির্বাচনী এলাকা বা নগরীর বিভিন্ন স্পট থেকে শুভেচ্ছা সন্বলিত ব্যানার-পোস্টার অপসারণের নির্দেশ দিলে প্রার্থীরা স্ব উদ্যেগে অপসারণের কথা থাকলেও অনেকেই এসব নিয়ে চিন্তাও করছেন না। তাছাড়া নির্বাচন কমিশনের দেয়া সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানোর মতো কাজ করছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এসব পোস্টার, ব্যানার উচ্ছেদে ইতিমধ্যে নির্বাচনের দায়িত্বশীল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে নেমেছেন। তবুও এখনো দেয়ালেই শোভা পাচ্ছে পোস্টার-ব্যানার।
এ অবস্থায় নির্বাচনের আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করতে ১৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নেমেছেন। ব্যানার-পোস্টার দ্রুত অপসারণ করতে সিটি করপোরেশনকেও নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। কমিশনের নির্দেশনার পরও অনেক প্রার্থীর নির্বাচনী সরঞ্জাম দেখে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন ভোটাররা।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নির্বাচন অফিসের দেয়া নির্দেশনা ছিল সিটি নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীদের পক্ষে শুভেচ্ছা বাণী, দোয়াপ্রার্থী সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার, দেয়ালিকা, বিলবোর্ড, গেইট, তোরণ, প্যান্ডেল, আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী প্রার্থীদের স্ব উদ্যোগে অপসারণ করার। নির্দেশনার পরও নির্বাচনী সরঞ্জাম সরাননি প্রার্থীরা। বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ অবস্থায় আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করতে ১৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নেমেছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। এতে নির্বাচনী আইন না মানার সুযোগ নেই।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ বলেন, দেয়ালে পোস্টার, ব্যানারসহ নানাবিধ উপকরণ সরানোর জন্য ইতিমধ্যে অভিযান শুরু করেছি। প্রতিদিন ২টার পরেই উচ্ছেদ করা হয়। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই সফলভাবেই কাজ শেষ করতে পারবো।
নির্বাচন অফিস ও সরজমিনে দেখা যায়, চসিকের রির্টানিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে নগরীতে প্রার্থীদের শুভেচ্ছা সম্বলিত পোস্টারসহ নানা উপকরণ অপসারণের নির্দেশ দিলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে দায়সারাভাবে। অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এবং স্বতন্ত্র হিসেবেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। যারা মনোনয়নপত্র পাননি, মূলত তারাই এসব নিয়ে চিন্তাই করছেন না। তাছাড়া এখনও নগরের অলিগলিতে ঝুলছে অনেকের ব্যানার-পোস্টার। নির্দেশনা না মেনে প্রার্থীরা কমিশনকে 'বৃদ্ধাঙ্গুলি' দেখাচ্ছেন। সরজমিন ঘুরে ব্যানার-পোস্টার দেখা যায়।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ