চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাগজীপাড়ার ১২টি বসত ঘরের ১৪ পরিবারকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। এ সময় লকডাউন এলাকায় লাল কাপড় দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। গত বুধবার রাত ১টা ৩০ মিনিটের সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা উপস্থিত থেকে বাড়িগুলো লকডাউন করা হয়।
একই সঙ্গে বিদেশ থেকে এবং ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমিত এলাকা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও সিলেট থেকে যারা পটিয়ায় এসেছে তাদেরকে নিজের বাড়িতে অবস্থান করতে জন্য উপজেলা প্রশাসন একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
জানা যায়, পটিয়া পৌরসভার ওই ওয়ার্ডের এক নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। গত বুধবার চট্টগ্রামের বিআইটিআইডিতে করোনাভাইরাস পজেটিভ হওয়ার পর পটিয়া উপজেলা প্রশাসন রাত দেড়টায় দিকে ১২টি বসত ঘরের ১৪ পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করে। বর্তমানে ওই রোগী চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা জাহান উপমা বলেন, ‘পটিয়ায় দ্বিতীয় করোনা আক্রান্ত নারী রোগী শনাক্তের পর এলাকাটি লকডাউন করা হয়। একই সঙ্গে ওই ব্যক্তির বাড়ির আশপাশের আরো কয়েকটি পরিবারকেও লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে তাদের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে।’
উপজেলা প্রশাসন ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আক্রান্ত ব্যক্তির এক আত্মীয় দুই মাস আগে বিদেশ থেকে আসেন। তবে তিনি কোনো বিদেশ ফেরত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে তিনি আসেননি। লকডাউনের আওতায় আসা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা আক্রান্ত রোগীর স্বামী-পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদেরও তালিকা তৈরি হচ্ছে বলে জানা যায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল