স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা মূলত একটি পণ্যের মতো। কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের সেবা নামক এ পণ্যটি এ বিভাগের কর্মীরা যথাযথভাবে সবার কাছে উপস্থাপন করতে পারেনি। ফলে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি অনেকের অনাস্থা তৈরি হয়েছে। এবার আমাদের অতীতের হারানো অর্জন আবারও ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ে শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমাম, পরিচালক (এমবিডিসি) ও লাইন ডাইরেক্টর (টিবি-এল অ্যান্ড এএসপি) অধ্যাপক ডা. মো. সামিউল ইসলাম। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সচিত্র তথ্য (কোভিড-১৯) উপস্থাপন করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ এবং কোভিড-১৯ বিষয়ে বিভাগীয় সচিত্র তথ্য উপস্থাপন করেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। সভার পূর্বে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে অবস্থিত আরটিআরএল-এ জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ পরীক্ষার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির, চমেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শামীম হাসান, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, বিআইটিআইডির ল্যাব ইনচার্জ ডা. শাকিল আহমেদ, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. শফিকুল ইসলাম, বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোতাহার হোসেন, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. আব্দুর রব।
অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘রাতারাতি স্বাস্থ্য বিভাগের চিত্র পাল্টানো সম্ভব নয়। দেশের হাসপাতালগুলোতে লোকবল ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট থাকা সত্ত্বেও রোগীরা সেবা পাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে সরকারের সহযোগিতা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই শক্ত হাতে মোকাবিলা করেছেন বলেই দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে অনেক চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন, আক্রান্তও হয়েছেন। তবুও চিকিৎসকরা আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন বলেই স্বাস্থ্যসেবা খাত অনেক দূর এগিয়ে গেছে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার