৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৯:৫৬

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হরিণের ঘরে নতুন অতিথি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হরিণের ঘরে নতুন অতিথি

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় সাম্বার হরিণের ঘরে এসেছে শাবক। আজ বুধবার সকালে হরিণের ঘরে এ নতুন অতিথি জন্ম নেয়। নতুন জন্ম নেয়া এই মেয়ে শাবকসহ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে মোট সাম্বার হরিণের সংখ্যা পাঁচটি। 

এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় জাতের হরিণ। দেশে প্রায় বিলুপ্ত এই হরিণ কেবল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আছে। এটির গর্ভধারণ কাল ৭ থেকে ৮ মাস। প্রাপ্ত বয়স্ক হয় তিন বছরে। বেঁচে থাকে ২০ থেকে ২৫ বছর। দুধ পান করে ৬ মাস পর্যন্ত।

জানা যায়, করোনাকালে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ ছিল চিড়িয়াখানা। গত ২২ আগস্ট দর্শনার্থীর জন্য খুলে দেয়া হয়। বন্ধের সময় চিড়িয়াখানায় যোগ হয়েছে অর্ধশত নতুন অতিথি। একটি বাঘ, একটি গয়াল, তিনটি চিত্রা হরিণ, একটি মায়া হরিণ, চারটি ময়ূর, ১০টি টিয়া, ২০টি ঘুঘু, ছয়টি শালিক, চারটি ককাটিয়েল, একটি ঘোড়া, দুইটি সজারু, ইন্দোনেশিয়ার সাতটি মুরগি, ২২টি অজগর সাপের বাচ্চা ও জেব্রা। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় ৬৬টি প্রজাতির ৬২০টি পশুপাখি আছে।  

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘আজ সকাল ৮টায় একটি সাম্বার হরিণের মেয়ে শাবকের জন্ম হয়। দেশে প্রায় বিলুপ্ত এই হরিণ কেবল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আছে। বর্তমানে নতুন অতিথিসহ শাবকের সংখ্যা পাঁচটি। এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় জাতের হরিণ।’ 

তিনি বলেন, ‘চিড়িয়াখানাটির অবয়ব ও সৌন্দর্য এখন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার পুরো সময়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। বৃদ্ধি করা হয়েছে চিড়িয়াখানার আয়তন, ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে দুই হাজার ফুট দৈর্ঘ্যের দৃষ্টিনন্দন দুটি সিড়ি, ২২ লাখ টাকায় নতুন করে প্রস্তুত করা হয়েছে একটি বার্ড জোন, তৈরি করা হয়েছে নতুন একটি কিডস জোন, প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন সম্প্রসারিত অংশে দেয়া হয়েছে সীমানা দেয়াল।’

জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মানুষের বিনোদন, শিশুদের শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য নগরের খুলশিস্থ ফয়েজ লেকের পাশে ৬ একর জমির উপর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা করেন। দেশে প্রথমবারের মতো নিজস্ব প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত ইনকিউবেটরে অজগরের ২৬টি বাচ্চা ফোটানো হয়েছে এ চিড়িয়াখানায়। চিড়িয়াখানায় আছে দেশের একমাত্র দুর্লভ সাদা বাঘ। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আনা হয়েছিল একটি বাঘ ও একটি বাঘিনী। আছে জেব্রা, সিংহ, হরিণ, ভালুক, বানর, কুমির। 

আছে ন্যাচারাল মিনি এভিয়ারি (পক্ষীশালা)। ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৫ ফুট প্রস্থের পক্ষীশালায় আছে ৬ প্রজাতির ৩০০ পাখি। পাখির মধ্যে আছে, লাভ বার্ড ২০  জোড়া, লাফিং ডাভ ৫০ জোড়া, ফিজেন্ট ১০ জোড়া, রিংনেড পারোট ১০, কোকাটেইল ৫০ ও ম্যাকাও ১ জোড়া। শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে কিডস জোন। দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে অভ্যন্তরীণ পথগুলো।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর