৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:৫১

চট্টগ্রামে ট্রেনের ৮টি চাকা লাইনচ্যুত: এএসএম বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ট্রেনের ৮টি চাকা লাইনচ্যুত: এএসএম বরখাস্ত

সংগৃহীত ছবি

ট্রেন চলাচলের পয়েন্ট সঠিকভাবে সেট না করে লাইন ক্লিয়ার দেয়ার কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের ৮টি চাকা লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দায়িত্বরত এএসএমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ ঘটনা তদন্তের জন্য ৪ সদস্যের একটি বিভাগীয় কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে। কমিটি ৩ কার্যদিবসের মধ্যেই প্রতিবেদন দাখিল করতেও নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সরদার শাহাদাত আলী। তবে কেউ দায়িত্বে অবহেলা এবং অনিয়ম করে থাকলে, আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী স্টেশনের কাছাকাছি চাঁদপুরগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের ৮টি চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে কোনো ধরণের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এটি চট্টগ্রাম ষ্টেশন হয়ে চাঁদপুর উদ্দেশে যাচ্ছিলো বলে জানান চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে ষ্টেশন মাস্টার আবু জাফর মজুমদার।

এই ঘটনার পরেই দায়িত্বপ্রাপ্ত এএসএম রাকিবুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং দায়ী ব্যক্তিদের সনাক্ত করতে একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে অবহেলা কিনা, অদক্ষ কিনা এবং বদলীর বিষয়ে কেউ জড়িত কিনা সেই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি।

রেলসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়তলীতে সহকারী ষ্টেশন মাস্টার (এএসএম) রাকিবুল ইসলাম যোগদান করেন কয়েকদিন আগেই। অনবিজ্ঞ এই এএসএম দায়িত্ব নেয়ার পরেই দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগে ২১ জন স্টেশন মাস্টার বদলি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। 

এই বদলীর আদেশে উক্ত এএসএম রাকিবুল ইসলামও রয়েছেন। যোগ্য ব্যক্তি থাকা সত্ত্বেও বর্তমান ডিটিও স্নেহাশিষ দাশ গুপ্ত এ আদেশ দিয়েছেন নানা কৌশলে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিতেও রয়েছে এই ডিটিও স্নেহাশিষ দাশ গুপ্তও। এই তদন্ত কমিটি নিয়েই নতুন প্রশ্ন শুরু হয়েছে। 

রেলওয়ে সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মোখলেছুর রহমান ক্ষোভের সাথে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে সিনিয়রদের দেয়ার ব্যবস্থা থাকলেও তা মানছে না। ২০১৯ সালে চাকরি হওয়া ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থানে পদায়ন করা হচ্ছে। সিনিয়রদের পদায়ন করা উচিত ছিল। অনেকেই ৮-১০ বছর যাবত এক জায়গায় চাকরি করছে। 

তবে ডিটিও স্নেহাশিষ দাশ গুপ্ত কেন, কি কারণে অনবিক্ষ একজন এএসএমকে (রাকিবুল) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, সেটি নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। এর দায়ভার ডিটিওকেও নিতে হবে। তাছাড়া তদন্ত কমিটিতে ডিটিও থাকায় সুষ্ঠু তদন্ত নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠতে পারে বলে জানান তিনি।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর