চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রামের ব্যবসা বাণিজ্যের সম্ভাবনা ও অগ্রগতি ঠেকাতে একটি মহল তৎপর। অথচ জাতীয় খাতে রাজস্ব আয়ের সিংহভাগের যোগানদাতা এই চট্টগ্রাম। সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সদর দপ্তর ঢাকায় স্থানান্তরের কারণে চট্টগ্রাম এখন ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্রমাগত পিছিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা ছিনিয়ে নেয়ার এই পরিকল্পনাকে নস্যাৎ করে দিতে হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায় চট্টগ্রামে উড়াল সেতু, কর্ণফুলীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, মহেশখালীতে গভীর সমুদ্র বন্দর, বে-টার্মিনাল নির্মাণ, ঘুনধুম থেকে মিয়ানমার হয়ে চীন পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের যে প্রক্রিয়া চলছে, তা সম্পন্ন হলে চট্টগ্রামের সঙ্গে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও সার্কভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আন্তঃসম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। এতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম ও দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধির পথে যাত্রা করবে। তাই নগরীর উন্নয়ন, আলোকায়ন, পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে নগরবাসীকে পৌরকর প্রদান করতে হবে।
আজ সকালে নগরীর পাথরঘাটাস্থ আনসার ক্লাব সংলগ্ন চসিক রাজম্ব সার্কেল-৩ এর স্পট হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতিমা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগির আহমেদ, বিপনীবিতান ব্যবসায়ী ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ছগির, পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী পুলক খাস্তগীর, আল মাদানী দাতব্য চিকিৎসালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. হাজেরা নাজনীন, করকর্মকর্তা (লাইসেন্স) জানে আলম, কর-কর্মকর্তা (কর) মেজবাহ উদ্দীন, উপ-কর কর্মকর্তা অতিকুর রহমান প্রমুখ।
প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, নগরবাসী হলেন এই শহরের মালিক। নগরীকে সুন্দর পরিচ্ছন্ন বাসযোগ্য রাখতে নগরবাসীর দায়িত্ব রয়েছে। কর্পোরেশনের প্রধানতম আয়ের খাত হলো পৌরকর। এই কর না দিলে কিভাবে নগরীর উন্নতি হবে? আমরা ডিসেম্বর মাসজুড়ে সারচার্জ ছাড়া পৌরকর ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। আশা করি, নগরবাসী এই সুযোগ গ্রহণ করবেন। জানুয়ারি থেকে আর এই সুযোগ থাকবে না। ভোগান্তি কমাতে স্পটে পৌরকর ও লাইসেন্স প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছি। এখন আর নগরবাসী বলতে পারবেন না কর আদায়কারীরা কর নিতে বাসায় যান না।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার