চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুলগুলোতেও লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এ ব্যাপারে চসিকের শিক্ষা বিভাগের তত্ত্বাবধানে স্কুলগুলোর ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর লটারির মাধ্যমে একযোগে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১১ হাজার শূন্য আসনে অনলাইনে আবেদনকারীদের ভর্তি প্রক্রিয়া হবে।
জানা যায়, চসিক পরিচালিত ৪৮টি মাধ্যমিক স্কুল আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ভর্তি ও লটারির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। এ ব্যাপারে গত ২০ ডিসেম্বর চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা প্রধান শিক্ষকগণের কাছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনাও দিয়েছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়, ‘চসিক পরিচালিত মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ২০২১ সালে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির লক্ষ্যে সরকারি প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা মোতাবেক লটারি কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন করার নিমিত্তে eduworlderp.com ওয়েবসাইটের Application মেনুতে নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ এবং ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে হবে।’ ৩১ ডিসেম্বর লটারির মাধ্যমে অনলাইন ভর্তি সম্পন্ন করা হবে। ওইদিন লটারির সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল চলে যাবে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্যানেলে। সেখান থেকে শুধুমাত্র লটারিতে যে সকল শিক্ষার্থীর নাম উঠবে সেকল শিক্ষার্থীদের ভর্তি করতে পারবে প্রতিষ্ঠান। ফলে লটারি কার্যক্রম হবে স্বচ্ছ ও ঝামেলামুক্ত।
চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া বলেন, ‘চসিক পরিচালিত ৪৮টি মাধ্যমিক স্কুলে অনলাইনে লটারির মাধ্যমে ভর্তি সম্পন্ন হবে। ইতোমধ্যে ৪৮টি স্কুলকে তাদের নিজ নিজ প্যানেল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি স্কুল তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ভর্তিচ্ছুদের আবেদন ফমরটি অনলাইনে আপলোড করে দিচ্ছে। যা জমা হয়ে যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির প্যানেলে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর সকালে এক ক্লিকের মাধ্যমে প্রতিটি স্কুলের প্রতি শ্রেণীর আসন সংখ্যার হিসেব অনুসারে অনলাইনে লটারি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি হবে স্বচ্ছ ও ঝামেলামুক্ত।’
জানা যায়, চসিক নগরের শিক্ষা খাতে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। প্রতিবছর শিক্ষাখাতে ভর্তুকি দিয়ে আসছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। বর্তমানে ৪৮টি মাধ্যমিক স্কুল, ২০টি কলেজ ও কেজি স্কুলও পরিচালিত হচ্ছে। ২০টি কলেজে নতুন ও ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ ও মেরামত কার্যক্রম চলে। চসিক নিয়মিত ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ দেয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার