২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:২৯

চসিক নির্বাচন: ‘নির্বাচনী শ্রমিকে’ কমছে বেকারত্ব

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চসিক নির্বাচন: ‘নির্বাচনী শ্রমিকে’ কমছে বেকারত্ব

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডের একজন কাউন্সিলরের পক্ষে মিছিল করেন প্রায় ২০-২৫ জনের একটি দল। মিছিলে অংশ নেওয়া কিশোর-তরুণদের মধ্যে অধিকাংশই ভোটার হয়নি। কেউ শ্রমজীবী, কেউ বেকার এবং কেউ খণ্ডকালীন চাকরি করেন। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে তারা সবাই এখন ‘নির্বাচনী শ্রমিক’। এই নির্বাচনী কাজে যুক্ত হওয়ায় এখন তরুণ-কিশোরদের বেকারত্বের সংখ্যা কমছে।            

মিছিলে অংশ নেয়া তরুণ আরাফাত বলেন, আমি পেশায় আগে আন্দরকিল্লার একটি প্রেসে কাজ করতাম। গত কয়েক মাস ধরে বেকার আছি। তবে গত ১০ দিন ধরে নির্বাচনী মিছিলে অংশগ্রহণ করছি। এভাবে চসিক নির্বাচনে কিশোর-তরুণরা মিছিল, পথসভাসহ বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারণার কাজে অংশগ্রহণ করছেন। এ কাজে অংশ নিয়ে তারা আর্থিকভাবে লাভবানও হচ্ছেন। ফলে চসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন কিশোর-তরুণ শ্রমজীবীদের মধ্যে বেকারত্ব কমছে। 

জানা যায়, আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিকের ৬ষ্ঠ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিদিন সকাল-বিকাল চলছে মিছিল, মিটিং, পথসভাসহ নানা ধরণের প্রচারণা। এসব প্রচারণায় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাইরেও বড় একটি অংশ হল বেকার যুবক-তরুণ ও কিশোর। এর মধ্যে অনেকের কাছে এই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়াটা পেশায় পরিণত হয়েছে।

কিন্তু শ্রমজীবীদের মধ্যে একটি বড় অংশ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় নিয়মিত স্বাভাবিক কাজের শ্রমিক কম পাওয়া যাচ্ছে। ঘাটফরহাদবেগ এলাকার বাসিন্দা এরশাদুল আলম বলেন, বাসায় কিছু সংস্কার কাজ করতে নিয়মিতই কচকরবাজার থেকে শ্রমিক সংগ্রহ করতাম। 

কিন্তু গতকাল একটা কাজে শ্রমিকের জন্য গেলে হাতেগোনা কয়েকজনকে পাওয়া যায়। কিন্তু তারা স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্য দাবি করছে। তাই না নিয়েই ফিরে আসি। নির্বাচনের পরই বাসার কাজ করার চিন্তা করছি। জানা যায়, এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী নির্বাচন করছেন।  

এর মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপির ডা. শাহাদাত  হোসেন, ইসলামিক ফ্রন্টের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, ইসলামী আন্দোলনের জান্নাতুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আবুল মনজুর এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী। 

তাছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭২ জন ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫৭ জন প্রার্থীসহ মোট ২৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবার ৪১টি ওয়ার্ডেই ভোটগ্রহণ হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। মোট ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে নারী ৯ লাখ ৪৬ হাজার  ৬৭৩ জন এবং পুরুষ ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন। ভোটকেন্দ্র আছে ৭৩৫টি। 

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর