২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:১৪

'মেয়রের কর্তৃত্ব বাড়াতে সিটি কর্পোরেশন আইন সংশোধন জরুরি'

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

'মেয়রের কর্তৃত্ব বাড়াতে সিটি কর্পোরেশন আইন সংশোধন জরুরি'

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রথম মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, সিটি কর্পোরেশনকে কার্যকর বা মেয়রের কর্তৃত্ব বাড়াতে সিটি কর্পোরেশন আইন সংশোধন করতে হবে। এ মুহূর্তে সিটি কর্পোরেশন আইন সংশোধন করা না গেলে স্থানীয় সরকার কমিশন গঠন অথবা চট্টগ্রাম নগর বা বৃহত্তর চট্টগ্রামের জন্য সচিবালয়ের অধীনে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা যেতে পারে। এ কমিটি সব প্রকল্প প্রণয়ন, যথাসময়ে বাস্তবায়ন, স্বচ্ছতাসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের নৈসর্গিক সৌন্দর্য রক্ষায় কাজ করতে পারবে।

সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে চসিক নির্বাচনের নিরিখে সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা  বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট মো. সেলিম ও অ্যাডভোকেট লিটন গুহ।  

মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গণতান্ত্রিক সরকারের আবরণে স্থানীয় সরকারের টুঁটি চেপে দেওয়া হয়েছে। এ মুহূর্তে যদি সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক জনদুর্ভোগ লাঘবে কর্তৃত্ব না থাকে, তাহলে এত ব্যয়বহুল এবং জটিল। তাহলে এমন নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা কি।

তিনি বলেন, কলকাতা শহরের মেয়র নির্বাচিত কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। লর্ড মেয়র অব লন্ডন ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স অনুযায়ী ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর উপরে অবস্থান। নিউইয়র্ক শহরের মেয়র নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনারসহ সব গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেন, তিনি প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত মেয়র।  

সাবেক মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম শহরে আগে ছিল ২৩টি ওয়ার্ড। আমার হাত ধরে ৪১ ওয়ার্ডের নির্বাচিত কমিশনারদের ক্ষমতা প্রদান করে কর্পোরেশন গঠনের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ১৯৮৮ সালে আমি তৃতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এ কর্পোরেশনের প্রশাসক নিযুক্ত হই। কর্পোরেশনের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথে এগোতে থাকি। ১৯৮৯ সালে  কর্পোরেশনের নির্বাচিত কমিশনারদের সঙ্গে সমন্বয় করে আইন মোতাবেক চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৮২ কার্যকর করার পদক্ষেপ গ্রহণ করি।

তিনি বলেন, প্রতি সপ্তাহে হরতালের পরও দায়িত্ব পালনকালে চসিকের আয় ১২০০ শতাংশ বাড়িয়ে কর্পোরেশনকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করেছি। ১৯৯০ সালের শুরুর দিকে ওয়ার্ড কমিশনার ও মহিলা কমিশনারদের উপসচিব পদমর্যাদা প্রদান করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। ১৯৯৩ সালের দিকে তৎকালীন জাতীয় সংসদে অফিশিয়াল কমিশনার পদগুলো বিলুপ্ত করে আইন প্রণয়ন করা হয়। মূলত সেই থেকেই মেয়রের আইনগত কর্তৃত্ব নগর সমন্বয় করা তথা নগর সরকার বা সিটি গভর্নমেন্টের বিলুপ্তি সাধন হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় সিটি কর্পোরেশন আইন সংশোধন হলেও অফিশিয়াল কমিশনার পদ সৃষ্টি হয়নি।  

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর