বনজদ্রব্যের অবৈধ পাচার প্রতিরোধে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ অভিযান জোড়দারসহ বিশেষ নজরদারি শুরু করেছে। গত ৩ মাসে চট্টগ্রামের উপর দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভিন্ন সড়ক পথে পাচারকালে সেগুনসহ ৩০ লক্ষাধিক টাকার বনজদ্রব্য আটক করা হয়। আটককৃত বনজদ্রব্য এবং যানবাহন কালুরঘাট সরকারি কাঠের ডিপো এবং চেক স্টেশনে হেফাজতে রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মাসে চট্টগ্রামের উপর দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভিন্ন সড়ক পথে পাচারকালে সেগুনসহ প্রায় ৩ হাজার ৯ শত ঘনফুট কাঠ, ২ হাজার ঘনফুট জ্বালানী কাঠ, ১১২টি বল্লী, ৫৬টি তৈরি কাঠের দড়জা, ৩৯টি চৌকাঠ, ১৮টি জানালার পাল্লা, ৩৮ আইটেম সেগুন কাঠের আসবাবপত্র, ৭৪০টি বাড়িয়ালা বাঁশ, ৬টি কাভার্ড ভ্যান, ৯টি ট্রাক, ৪টি পিকআপ, ১টি ট্রেইলর, ৭টি জীপ, ১টি মাহিন্দ্র, ১টি ভ্যান, ১টি টমটমসহ ৩০টি যানবাহন জব্দ করা হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক, খাগড়াছড়ি-রামগড়-চট্টগ্রাম সড়ক, কর্ণফুলী সেতু সড়ক, কালুরঘাট সেতু সড়কসহ চট্টগ্রাম শহরে আসা বিভিন্ন সড়কে শহর রেঞ্জের বিশেষ টহলদল এবং ধুমঘাট ফরেস্ট চেক স্টেশন, করেরহাট বিট-কাম চেক স্টেশন, ফৌজদারহাট বিট-কাম চেক স্টেশন, হাটহাজারী বিট-কাম চেক স্টেশন, রাউজানঢালা বিট-কাম চেক স্টেশন ও নারায়নহাট বিটের সড়ক পথে অবৈধভাবে বনজদ্রব্য পাচারের অপরাধে বিভিন্ন অভিযানে ১৮ জনকে আটক করা হয়। আটকৃতদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শহর রেঞ্জ কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক ব্রজ গোপাল রাজবংশী বলেন, স্টাফ ও সরকারি যানবাহন স্বল্পতা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ বনজদ্রব্য পাচার প্রতিরোধে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। বনজদ্রব্যের অবৈধ পাচার প্রতিরোধে অভিযান জোরদার করায় পাচারকারীরা ত্রিপল ঢাকা ট্রাক, মিনি ট্রাক, বালুর নীচে, তরকারির গাড়ীতে, ইটের গাড়ীতে, কাভার্ড ভ্যানসহ অভিনব কায়দায় কাঠ পাচার করছে। স্পর্শকাতর এলাকায় র্যাব-৭ সহ যৌথ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ
