তারা সংঘবদ্ধ চক্র। এক গ্রুপ বিত্তশালী ও প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন। অপর গ্রুপ তাদের সাথে করতো প্রেমের অভিনয়। তাদের তৈরি ফাঁদে পড়লে উন্মোচিত হতো এ চক্রের আসল পরিচয়। এরপর ব্ল্যাক মেইল করে লাখ লাখ টাকা আদায় করতেন তারা।
অবশেষে এই প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন-শহীদ আলম লেদু, জাহাঙ্গীর আলম, মো রায়হান এবং গিয়াস উদ্দিন। বৃহস্পতিবার রাতে বাকলিয়ার থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বাকলিয়া থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন, ‘প্রতারক এ চক্রটি অবস্থাসম্পন্ন পুরুষদের নারী দিয়ে প্রেমের টোপ দিত। এরপর একান্তে দেখা করার কথা বলে বাসায় নিয়ে আসে। পরে জিম্মি করে আদায় করে মোটা অঙ্কের টাকা। চক্রটির কতজন প্রতারণার শিকার হয়েছেন তা তদন্ত করা হচ্ছে।’
জানা যায়, কিছু দিন আগে শামীম হাসান নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে ক্লায়েন্ট পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এক তরুণী। এরপর দেখা করার কথা বলে তাকে নিয়ে আসে বাকলিয়া এলাকায়। তাকে জিম্মি করে ২ লাখ টাকা আদায় করে। এ অভিযোগ পেয়ে প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় আসামিদের কাছ থেকে একটি এলজি ও ২টি টিপ ছোরা উদ্ধার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই