চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বন্দরের পার্সোনাল অফিসার আলতাফ হোসেনসহ দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত এই মামলায় মোট ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে এই দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, বন্দরের পার্সোনাল অফিসার আলতাফ হোসেন ওই মামলায় জব্দ তালিকার সাক্ষী। আলতাফ হোসেনের সামনে কন্টেইনার ও ড্রাম খুলে আলামত সংগ্রহ এবং সিলগালা করা হয়। এছাড়াও রিয়াজ উদ্দিন খান নামের আরও একজন সাক্ষী দিয়েছেন। তিনিও একটি জব্দ তালিকার সাক্ষী। আগামী ১৮ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে এই ১০ জনকে আসামি করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ১০ জন হলেন- আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের খানজাহান আলীর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, কসকো-বাংলাদেশ শিপিং লাইন্সের ব্যবস্থাপক এ কে এম আজাদ, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল, প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেল, পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, লন্ডন প্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের বকুল মিয়া।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৬ জুন নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এসএম তানভির আরাফাতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সান ফ্লাওয়ার তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এরপর ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়।
বলিভিয়া থেকে আসা চালানটির প্রতিটি ড্রাম পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে দেখা হয়। এতে চালানের দুটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। এর পর থেকেই বিগত সময়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলার আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর