কঠোর লকডাউনে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে কন্টেইনার বহনকারী ট্রাক-লরি এবং কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারী ও শ্রমিকদের চলাচল নির্বিঘ্নে করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯০ শতাংশেরও বেশি হয়েছে থাকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। তাই কঠোর লকডাউনের মধ্যেই বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করবে শ্রমিক-কর্মচারীরা। বন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিতরা থাকবে স্বাভাবিক সময়ের মতই। পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত গাড়ি নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে বন্দরের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে স্টিকার।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে সরকার এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন শুরু করেছে। এই সময়ের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। গত এক বছরে রেকর্ড পরিমাণ কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করেছি। অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারের কঠোর লকডাউনেও আমরা প্রস্তুতি মতে কাজ করে যাচ্ছি। করোনার মধ্যেও বন্দরে কন্টেইনার, কার্গো হ্যান্ডলিং ও জাহাজ আসার সংখ্যা স্বাভাবিক আছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন