চট্টগ্রাম নগরের টাইগার পাস থেকে লালখান বাজার মোড় পর্যন্ত সড়কটির দুই পাশ ইতিহাসের স্মৃতিস্মারক। তাই বিমানবন্দর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আওতা থেকে টাইগারপাস-লালখান বাজার মোড় পর্যন্ত অংশটি বাদ দেওয়া হোক। এখানে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ করে টাইগারপাসটিকে ইট পাথর কংক্রিটের নিচে ঢেকে দিবেন না। আজ বুধবার সকালে নগরীর টাইগারপাস চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম ঐতিহ্য রক্ষা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য সচিব সাংবাদিক লেখক জসীম চৌধুরী সবুজ ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান। মানববন্ধনে দেওয়ানহাট, ধনিয়ালাপাড়া, মুহুরি পাড়া, মিস্ত্রি পাড়া, চৌমুহনী মহল্লার বাসিন্দারা যোগ দেন।
সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শত শত বছরের ঐতিহ্য ধারণ করে আছে টাইগারপাস। এটা প্রকৃতির দান। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেও এ রকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কেউ তৈরি করতে পারবে না। অথচ এটি ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লেগেছে। এটি সরকারি অর্থ অপচয়ের উৎসবের নামান্তর। এই টাইগারপাস রক্ষায় আমরা আবেদন-নিবেদন জানিয়ে এখন রাজপথে হাজির হয়েছি। জনমতকে উপেক্ষা করে টাইগারপাসকে কংক্রিটের জঞ্জালের নিচে ঢেকে না ফেলার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি।
পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক-লেখক জসীম চৌধুরী সবুজ বলেন, চট্টগ্রামের সিটি মেয়র টাইগারপাসে ফ্লাইওভার করে অপরূপ সৌন্দর্য নষ্ট না করতে সিডিএকে চিঠি দিয়েছেন। আমাদের বলেছেন, টাইগারপাস রক্ষায় সরকারের উচ্চমহলে তিনি যোগাযোগ করে বিকল্প প্রস্তাব পাঠাচ্ছেন। এ অবস্থায় ফায়ার সার্ভিসের পর থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে সিডিএ’র প্রতি আহবান জানাই।
মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, পরিবেশ-প্রকৃতি ধ্বংস করে টাইগারপাসে ফ্লাইওভার না করার দাবিটি চট্টগ্রামবাসীর গণদাবিতে
পরিণত হয়েছে। গণদাবি উপেক্ষার ফল কখনো শুভ হয় না। পরিষদের সমন্বয়ক এইচএম মুজিবুল হক শুক্কুরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পরিষদের যুগ্ম সচিব অধ্যাপক মুহম্মদ আমির উদ্দিন, হাসান মারুফ রুমী, সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, দৈনিক নয়াবাংলার নির্বাহী সম্পাদক মনজুর এলাহী খোকন, সংগঠক সরোয়ার আমিন বাবু ও আবদুস সবুর খান প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর