চট্টগ্রামে বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগে এক নারীকে (৩৬) কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দীনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিয়ের নামে অনেক পুরুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ-সম্পদ লুট, জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে নানামুখী প্রতারণা-জালিয়াতি ও নিরীহ লোকদের হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগে এই নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রতারক মিনু আক্তার, মোস্তফা জামিল (৩৭) ও রাশেদকে (৩৯) আসামি করে আদালতে মামলা করা হয়। মামলাটি বায়েজিদ থানাকে এজাহার হিসেবে নেওয়ার জন্য আদালত আদেশ দিয়েছিলেন। অভিযুক্ত ওই নারী কখনো মিনু, কখনো সুমি, কখনো ফাতেমা ও কখনো রোমানা নামে পরিচিত। এসব নামে তৈরি করা হয়েছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। তিনজন বৈধ স্বামীর পরিচয় পাওয়া গেলেও আছে আরও অনেক স্বামী। একাধিক প্রতিষ্ঠানে ছদ্মনাম এবং ভিন্ন ভিন্ন নামের সার্টিফিকেট ব্যবহার করে একাধিক চাকরিও করেছেন তিনি।
মামলার বাদী প্রবাসী ইমাম হোসেনের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, মিনু আক্তার কয়েকটি এনআইডি কার্ড এবং বিভিন্ন নামে নাগরিক সনদ বানিয়ে বৈবাহিক প্রতারণাসহ ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন নামে অ্যাকাউন্ট খুলে দেশি ও প্রবাসীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এক নারীর ভিন্ন নামের পরিচয়পত্র, তিনজন বৈধ স্বামী, বৈবাহিক সম্পর্ক বলবৎ থাকা অবস্থায় অন্য পুরুষকে বিয়ের ডকুমেন্ট আদালতের নজরে আনার জন্য দাখিল করা হয়েছিল। একাধিক প্রতিষ্ঠানে ছদ্মনাম এবং ভিন্ন ভিন্ন নামের সার্টিফিকেট ব্যবহার করে একাধিক চাকরিও করেছে মিনু আক্তার। বুধবার মিনু আক্তার আদালতে আত্মসমর্পণ করে। আদালত প্রায় ৩০ মিনিট শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত সোমবার একই মামলার আসামি রাশেদ নামে একজন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার