নগরীর কর্ণফুলী এলাকার রায়হানুল ইসলাম চৌধুরী সজিবকে খুনের পর প্রায় দুই বছর পলাতক ছিলেন আব্দুর রহমান লাল। দীর্ঘ সময় কর্ণফুলী থানা পুলিশ তদন্ত করে তার সন্ধান দিতে পারেনি। তার অস্তিত্ব না পেয়ে হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে চার্জশীটও দেয়া হয়। কিন্তু আদালত চার্জশীট গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ২৬ দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয় পুলিশের খাতায় অস্তিত্বহীন আব্দুর রহমান লালকে। বৃহস্পতিবার রাতে কর্ণফুলী থানাধীন মৌলভীবাজার এলাকা থেকে লালকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
পিবিআই’র চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘গত বছরের ১৫ জানুয়ারী সজিবকে অপহরণ পরিকল্পনা করে। সুমি নামে এক নারীকে দিয়ে ফোন করিয়ে কর্ণফুলী থানাধীন বৈদ্দ্যার বাড়ি কবরস্থানে নিয়ে যায় সজিবকে। এরপর তাকে জিম্মি করে মোবাইল, নগদ অর্থ, সোনার আংটিসহ মূল্যাবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। আরো ১৫ লাখ টাকার দাবিতে শ্বাসরুদ্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে মারা যায় সজিব। এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করে নিহতের পরিবার। তদন্তে ৫ জনকে আসামি করে চার্জশীটও প্রদান করে কর্ণফুলী থানা পুলিশ। কিন্তু আদালত চার্জশীট গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই’কে নির্দেশ দেন। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ২৬ দিনের মাথায় পলাতক আব্দুর রহমান লালকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার পরবর্তী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে খুনের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল