চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির অভিযোগে পরিবহন শ্রমিক ও মালিক সমিতির পাঁচজনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট পালন করেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘট পালন শুরু করে।
হঠাৎ ধর্মঘটের কারণে অফিসমুখী যাত্রী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা চরমভাবে দুর্ভোগে পড়েন। সকাল থেকে নগরের সবগুলো সড়ক মোড়ে অসংখ্য মানুষ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে। অনেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশা, টেম্পো ও অটোরিকশায় গন্তব্যে যেতে হয়েছে।
জানা যায়, গতকাল বুধবার দুপুরে অলংকার মোড় থেকে লুসাই বাস মালিক সমিতির লাইনম্যান মোহাম্মদ আরিফ, চট্টগ্রাম (মেট্রো) বাসমালিক সমিতির লাইনম্যান নারায়ন ও ওয়াহিদ, চট্টগ্রাম জেলা বাস-মিনিবাস হিউম্যানহলার মালিক মালিক সমিতির লাইনম্যান সিদ্দিক হোসেন চৌধুরী ও মোহাম্মদ আজাদকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যায় র্যাব। পরে রাতে তাদের চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পাহাড়তলী থানায় হস্তান্তর করে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গণপরিবহন নেতারা পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ধর্মঘটের ডাক দেয়াটা পুরাই অন্যায়। এর মাধ্যমে নাগরিকদের দুর্ভোগের মুখে ফেলা হয়েছে। এতে আমরা চরমভাবে ক্ষুব্ধ। আরিফ নামের এক চাকরিজীবী বলেন, হঠাৎ ধর্মঘট ডাকার কোনো মানে হয় না। এভাবে ধর্মঘট ডাকার কারণে সাধারণ মানুষ অন্তহীন দুর্ভোগে পড়েছেন।
বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক অলি আহম্মদ বলেন, অলংকার মোড় থেকে একজন লাইনম্যানকে গ্রেফতার এবং ৫ জনকে তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে নেওয়া হয়েছে। তাই পরিবহন মালিকরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। তবে পিকেটিং বা অন্য কোনও কর্মকাণ্ড হচ্ছে না। আমরা থানা, ডিবি, এসবিসহ সব জায়গায় খোঁজ নিলাম, কিন্তু কেউ কিছু জানে না।
সিএমপির ট্রাফিক-উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার আলী হোসেন বলেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। কেন হঠাৎ তারা গাড়ি বন্ধ রেখেছে। আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর