শিরোনাম
২২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:২৫

শিকলবাহা খালের পুরনো রূপ ফিরিয়ে আনা হবে : পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

শিকলবাহা খালের পুরনো রূপ ফিরিয়ে আনা হবে : পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেছেন, শিকলবাহা খাল ছিল না, পুরোটাই ভরাট, অবৈধ স্থাপনা ছিল। খালে গেছে স্যুয়ারেজ লাইন। খালের পাড় দখল করে বানানো হয়েছে গরুর ঘর। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করে। খাল খনন ও ড্রেজিং করা হয়। স্থানীয়দের সাবধান ও পরিবেশ অধিদফতর থেকে দখলদারদের জরিমানা করা হয়েছে। এখন খনন কাজ চলছে। খননকাজ শেষ হলে এই খালের পুরনো রূপ ফিরে আসবে। স্থানীয় মানুষ এর পানি ব্যবহার করতে পারবে। 

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে কর্ণফুলী উপজেলায় লেংগ্যা-শিকলবাহা চৌমুহনী নয়াহাট খাল পুনঃখনন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফারুক চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা, পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম পৌর বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী তন্ময় কুমার ত্রিপুরা প্রমুখ।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, আমরা কর্ণফুলীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছিলাম। করোনার জন্য উচ্ছেদের কাজটা স্থগিত রেখেছি। করোনাকালে লোকজনের আয় ও উপার্জন থেমে গিয়েছিল। শুধু কর্ণফুলী নয়, সারাদেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজটা সাময়িক স্থগিত করে রেখেছি। করোনার প্রভাব কমে আসলে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করবো।

তিনি বলেন, ডেলটা প্ল্যানের আওতায় সারাদেশে ৫১২টি খাল পুনঃখনন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশ কাজ হয়েছে। আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারবো। তারপর দ্বিতীয় ধাপে কাজ শুরু হবে, যেখানে তালিকায় রয়েছে ৪ হাজার ২৬টি খাল। দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু করতে তিন-চার বছর সময় লাগবে। সব কাজ শেষ হলে বর্ষায় উজান থেকে আসা পানির ধারণক্ষমতা বাড়বে।    

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছর একাধিকবার বন্যা হওয়ার পরও সেভাবে বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়নি। বাঁধ ভেঙ্গে যায়নি, বাঁধের পানি উপচে পড়েছে। যেখানে গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানেও বাঁধের ক্ষতি হয়নি। আমরা যদি ৬৪ জেলায় ছোট নদী ও খাল খননকাজ শেষ করতে পারি, বর্ষায় এসব নদী ও খালে পানি ধারণক্ষমতা বাড়বে। 

তখন গ্রাম প্লাবিত হবে না, ক্ষতির পরিমাণ কমে সহনীয় অবস্থায় আসবে। প্রকল্প জনগণের কল্যাণের জন্য, সেখানে জনগণের সহযোগিতা লাগবে। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাবে না। একজন লোকের জন্য পাঁচ হাজার মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না।   

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর