অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকী কারণের বিরুদ্ধে আরও সাত জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত। একই সঙ্গে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল এ আদেশ দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদ। দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চুমকী কারণের বিরুদ্ধে আদালতে সাত জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যদাতারা সবাই আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। মামলার অপর আসামি প্রদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতের আদেশ আদালতে আসেনি। যার কারণে প্রদীপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
জানা যায়, জ্ঞাত-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদক ১৩ পৃষ্ঠার অভিযোপত্র দাখিল করেন। যাতে সাক্ষী করা হয় ২৯ জনকে। যার মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। দুদক তদন্তে প্রদীপের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্র্ভূত সম্পদ অর্জন করে সেই সম্পদ স্ত্রীর নামে হস্তান্তর এবং স্থানান্তরপূর্বক মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের তথ্য প্রমাণ উল্লেখ করা হয়। এছাড়া উভয়ের বিরুদ্ধে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকার অর্জিত সম্পদের তথ্য ও মিথ্যা তথ্য সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখের তথ্য প্রমাণ পাওয়ার কথা উল্লেখ করে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় প্রদীপের স্ত্রী চুমকিকেও আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল