চট্টগ্রামের চাকতাই খাল ও রাজাখালি খালের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ১২৬টি স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। তবে উচ্ছেদের আগে নিজ খরচে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য দুই সপ্তাহ সময় দিতে বলেছেন আদালত। এরপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে, কর্ণফুলী নদী পাড়ের উচ্ছেদ এবং চাকতাই খাল ও রাজাখালি খালের প্রকৃত সীমানা চিহ্নিত করে খালের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং নির্মাণ কাজ বন্ধে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের হয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ হাইকোর্টে রিট করেন।
আদালতের আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান। এ মামলায় বিবাদীরা হলেন পরিবেশ, অর্থ, এলজিআরডি ও পানি সম্পদ সচিব, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব, সিডিএ চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি, জেলা প্রশাসক, এডিসি, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, বাকলিয়ার এসিল্যান্ড এবং ওসি।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সংবিধান পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ জলাধার, জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ অনুসারে খাল ভরাট করা নিষিদ্ধ। তবুও চট্টগ্রাম শহরে প্রশাসনের শত শত চোখের সামনে খালের জায়গা দখল করে পানির প্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে। ফলে নগরে বসবাসরত লক্ষ লক্ষ মানুষ জলাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়। জরিপের মাধ্যমে খালের জায়গার সীমানা দখলের প্রতিবেদন করা হয়েছে। আমরা তা আবেদন করলে আদালত এসব স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ৬ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে জেলা প্রশাসন প্রতিবেদন দাখিল করে জানায়, বাকলিয়া এবং পাঁচলাইশ মৌজায় ১২৬টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এর মধ্যে রাজাখালি এলাকায় ৬১ এবং চাকতাই এলাকায় রয়েছে ৬৫টি। আজ এ বিষয়ে জারি করা রুল মঞ্জুর করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এছাড়া মামলাটিকে কনটিনিউয়াস ম্যানডামাস হিসেবে রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই