চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপকূলের কুমিরা ঘাট থেকে প্রতিকূল আবহাওয়ায় ছেড়ে আসা একটি স্পিডবোট সাগরে উল্টে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া তিন শিশুর এখনো খোঁজ মিলেনি। বৃহস্পতিবারও নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের উদ্ধার টিম সন্ধান করে খোঁজ পায়নি।
এর আগে গত বুধবার সকাল ৮টার দিকে কুমিরার গুপ্তছড়া ও মাইটভাঙা ঘাটের মাঝামাঝি স্থানে স্পিডবোট উল্টে নুসরাত জাহান আনিকা (১৩) নামে শিশু নিহত ও তিন শিশু নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর থেকে তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনূল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, নিখোঁজ তিনজনকে এখনো পাওয়া যায়নি। তবে তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।
সন্দ্বীপ উপজেলার নির্বাহী অফিসার সম্রাট খীসা বলেন, দ্বিতীয় দিনের মত গতকালও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে তা সন্ধ্যায় সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। তবে নিখোঁজ তিনজনের এখনো খোঁজ মিলেনি। শুক্রবার আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
জানা যায়, দুর্ঘটনা কবলিত স্পিডবোটে মোট ২০ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ হয় পানিতে ডুবে মারা যাওয়া নুসরাত জাহান আনিকার ছোট দুই জমজ বোন ইসরাত জাহান আদিফা ও ইসমত জাহান আলিফা। তারা সন্দ্বীপ মগধরা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মমতাজ সুকানির বাড়ির মো. আলাউদ্দিনের মেয়ে। তাছাড়া সৈকত নামে ছয় বছর বয়সী এক শিশুও নিখোঁজ আছে। সন্দ্বীপ উপকূলে দুর্ঘটনার পর বড় বোন আনিকার লাশ পাওয়া গেলেও জমজ দুই বোন আদিফা ও আলিফার সন্ধান মেলেনি। মায়ের হাত থেকেই তারা ভেসে যায়। আনিকা স্থানীয় মণধরা স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ত। নিখোঁজ তিনজনই সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং মগধরা সকিনা ওযাজিউল্লাহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। হতভাগা তিন সন্তানের জনক আলাউদ্দিন চারদিন আগে ওমান গেছেন। তাকে বিদায় দিতে চট্টগ্রাম আসছিলেন তারা। পরে বহদ্দারহাটে নানাবাড়িতে কয়েক দিন বেড়ানো শেষে সন্দ্বীপে ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/এএম