২২ জুন, ২০২২ ২১:০০

জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিকে চার সদস্যের কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিকে চার সদস্যের কমিটি গঠন

জলাবদ্ধতার প্রকোপ নিরসনে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত বিশেষ সভা

চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা গত এক সপ্তাহের টক অব দ্য টাউন। এ নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) কড়া ও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে নগরবাসীর। এমন পরিস্থিতিতে চসিক ‘চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় জলাবদ্ধতার প্রকোপ নিরসনে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত’ বিশেষ সভার আয়োজন করে।

বুধবার বিকালে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় স্বল্প সময়ের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে চলতি বর্ষায় জনগণকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখতে করণীয় নির্ধারণে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

চউকের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামসকে সভাপতি ও চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে সদস্য সচিব এবং জলাবদ্ধতা প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহ আলী ও চসিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলীকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক এবং সরেজমিন পরিদর্শন করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়। সভার শুরুতে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম নগরের খালগুলোর বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন।

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন চউকের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, বন্দর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ওয়াসা, জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিসহ সেবা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বৃষ্টিতে শহরে পানি উঠবে। তবে কীভাবে তা দ্রুত নিষ্কাশন করা যায়, সে বিষয়ে সকল সেবা সংস্থাকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। বর্ষার টানা বৃষ্টিতে শহরের বেশ কিছু এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। বৃষ্টির পর পানিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে সেবা সংস্থার দায়িত্ব হলো নাগরিকদের কল্যাণে কাজ করা যাওয়া।

তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পের কাজ করতে গেলে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হবেই। জলাবদ্ধতার পর খালের বাঁধ অপসারণের পরও কেন পানি জমে থাকছে, এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। বৃষ্টিতে পানি উঠবে না এটা বলছি না, পানি উঠবেই। কিন্তু কীভাবে তা দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা যায়, সে বিষয়ে সবাই পরিকল্পনা নির্ধারণ করেছি। কোন কোন এলাকায় প্রতিবন্ধকতার কারণে পানি জমছে, কোথায় বাঁধ দেওয়া হয়েছে-এসব বিষয়ে কমিটি সরেজমিন পরিদর্শনে যাবে। পরিদর্শন শেষে জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর