খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) কিছুদিন আগে আন্দোলন করেছিলেন শিক্ষার্থীরা, আর এবার আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকরা। বুধবার একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ার চতুর্থ দিনেও ক্লাস শুরু হয়নি। এই অবস্থায় ৭ হাজার ৫৬৫ জন শিক্ষার্থী দীর্ঘ সেশনজটের আশঙ্কা করছেন।
জানা গেছে, আড়াই মাস পর রবিবার (৪ মে) কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জন করায় শুরু থেকে ক্লাস হচ্ছে না। শিক্ষক-শিক্ষার্থী না থাকায় ক্লাসরুমগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। মেঝে ও চেয়ার-টেবিলে ধুলোর স্তর জমেছে। এই অবস্থায় শিক্ষাকার্যক্রম চালুর অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা যেমন উদ্বিগ্ন, তেমনি উদ্বিগ্ন তাদের অভিভাবকরাও।
কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার বলেন, “শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জন করায় কুয়েটে ক্লাস হচ্ছে না। শিক্ষকরা ক্লাসে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন। ”
এদিকে, শিক্ষকদের কাছে দুই দফায় ক্ষমা চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এরপরও শিক্ষকরা ক্লাসে ফেরেননি। দীর্ঘদিন ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়ছেন। সেশনজটের আশঙ্কাও দিন দিন বাড়ছে।
কুয়েট শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ তুলে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। সোমবার (৫ মে) দুপুরে কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা শেষে নেতারা সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবির কথা জানান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল