চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে জন্ম নিল ১১টি অজগরের বাচ্চা। ৬৫ দিন পর ডিম থেকে ফুটে বাচ্চাগুলো বের করা হয়। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় তৃতীয়বারের মত হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে এ অজগরগুলো জন্ম নিল। ইংরেজিতে এই সাপকে রক পাইথন বলা হয়।
জানা যায়, গত সোমবার ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে শুরু করে। এরপর ধাপে ধাপে বাচ্চা বের হয়। সর্বশেষ গত বুধবার পর্যন্ত ১১টি অজগরের বাচ্চা ডিম থেকে বের হয়। এর আগে ২০১৯ সালে প্রথমবার ২৫টি ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো হয়েছিল। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় ফুটানো হয় ২৮টি। এবার ফুটানো হয় ১১টি।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, তৃতীয়বারের মত অজগরের ডিম থেকে ১১টি বাচ্চা ফুটানো হয়। ৬৫ দিন ইনকিউবেটরে রাখার পর এসব ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়েছে। বাচ্চাগুলোর চামড়া বদলাতে প্রায় ১৫ দিন সময় লাগবে। এরপর খাওয়া দাওয়া শুরু হবে। খাবার হিসেবে সাধারণত ইঁদুর ও মুরগির বাচ্চা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আগের বাচ্চাগুলো বংশবৃদ্ধি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য উন্মুক্ত বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এবারেরগুলো উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা আছে।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ৬ একর পাহাড়ি জমির ওপর গড়ে তোলা হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। বর্তমানে এ চিড়িয়াখানার জমির পরিমাণ ১০ দশমিক ২ একর। এখন চিড়িয়াখানায় বাঘ, সিংহ, বানর, ময়ূর, হরিণ, গয়াল, জেব্রা, কুমির, বানর, উল্লুক, গয়াল, ভালুক, চিত্রা হরিণ, সাম্বার হরিণ, চিল, শকুন, উঠপাখি, মেছোবাঘ, অজগর, শজারু, উঠপাখি, ইমু, শেয়াল, টার্কি, গন্ধগোকুল, পায়রা, টার্কি, তিতিরসহ ৬৬ প্রজাতির ৬২০টি পশুপাখি আছে। এক সময় বাঘশূন্য হয়ে পড়া এ চিড়িয়াখানায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানি করা হয় একজোড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার। তাদের পরিবারে জন্ম হয়েছে বিলুপ্ত প্রায় সাদা বাঘ। রয়েছে বিশাল পক্ষীশালা আর বিলুপ্ত প্রজাতির বেশ কিছু পশুপাখি। আছে শিশুদের জন্য তৈরি করা কিডস জোন।
বিডি প্রতিদিন/এএম