১৬ আগস্ট, ২০২২ ২০:৪০

চট্টগ্রামে ফ্লাইওভার ধস : নয় বছর ধরে বিচারের অপেক্ষায় নিহতের স্বজনরা

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ফ্লাইওভার ধস : নয় বছর ধরে বিচারের অপেক্ষায় নিহতের স্বজনরা

চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় আলোচিত ফ্লাইওভার ধসের ঘটনায় দীর্ঘ ৯ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন নিহতের স্বজনরা। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার বিষয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচারের দাবি জানান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনরা। এই ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙে পড়ার মামলা এখনও শেষ হয়নি। আগামী ৩ অক্টোবর এই দুর্ঘটনার মামলার সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, গত ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারটির তিনটি গার্ডার ভেঙে পড়ে নিহত হন ১৩ জন। এই ঘটনায় একই বছরের ২৬ নভেম্বর চান্দগাঁও থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।

চট্টগ্রামে সরকার পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এডিশনাল পিপি) অনুপম চক্রবর্তী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতের চলমান ছিল। গত ২০২০ সালে মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি এসেছে। আদালতে ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। গত রবিবার আদালতে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ছিল কিন্তু সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুরাদ বলেন, নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে প্রাণহানির ঘটনার মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ৩ অক্টোবর সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

নিহতদের স্বজনরা বলেন, এই ঘটনার ৯ বছরেও বিচার কার্যক্রম শেষ হয়নি। এতে এখনও বিচারের অপেক্ষায় আছি আমরা। তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার দাবি করছেন স্বজনরা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, কর্তব্যে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে প্রাণহানির ঘটনায় প্রকল্প পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৪ সালের ১৮ জুন তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এসএম মজিবুর রহমানের আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করা হয়। মামলায় মোট সাক্ষী করা হয় ২৭ জন। 

বর্তমানে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। অভিযুক্ত আটজন হলেন- মীর আক্তার অ্যান্ড পারিশা ট্রেন সিস্টেমস (জেভি) বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. গিয়াস উদ্দীন, সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার মো. মনজুরুল ইসলাম, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই, মো. মোশরাফ হোসেন রিয়াজ, ডাইরেক্টর (অ্যাডমিন) প্রকৌশলী মো. শাহজাহান আলী, আব্দুল জলিল, আমিনুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

সর্বশেষ খবর