চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় সন্তানের গুলিতে মা জেসমিন আক্তার (৫০) নিহত হওয়ার ঘটনায় ছেলে মাঈনুদ্দিন মোহাম্মদ মাঈনুকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে জেসমিন আক্তারের মেয়ে শায়লা শারমিন নিপা বাদী হয়ে পটিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তবে প্রধান আসামি ছেলে মাঈনুদ্দিন এখনও পলাতক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পটিয়া পৌরসভার নিজ বাড়িতে ছেলে মাইনুদ্দিনের গুলিতে তার মা মারা যান।
নিহত জেসমিন আক্তার পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রেসিডিয়াম সদস্য শামসুল আলম মাস্টারের স্ত্রী। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম রশিদুল হক বলেন, জেসমিন আক্তারকে খুনের ঘটনায় ছেলে মাইনুদ্দিনকে আসামি একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুলাই সামশুল আলম মাস্টার মারা যান। মৃত্যুর পর থেকে মাদকাসক্ত ছেলে মাঈনুদ্দীন টাকা-পয়সা ও সম্পত্তি নিয়ে মাকে নিয়মিত চাপ দিয়ে আসছেন বলে প্রতিবেশীরা জানান। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মা জেসমিন ও বোন শারমিন ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়ি ফিরেন। এরপর বাড়িতে গুলির আওয়াজ শুনা যায়।
বাড়িতে চিৎকার ও কান্নার আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা সেখানে গেলে জেসমিন আকতারকে বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে মেয়ে নিপাসহ প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া জেনারেল হাসপাতাল, পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর