চট্টগ্রামে বাবার হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়েছে তিন অবুঝ সন্তান। এ সময় নিহত বিমান ধরের স্ত্রী প্রিয়াংকা ধরও তাদের পাশে ছিলেন। বাবা হারানো ১০ বছর বয়সী মেয়ে ঐত্রী ধরের সঙ্গে ছিল তার ছোট দুই ভাই অয়ন ধর ও তরিৎ ধর।
রবিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিমান ধরের খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)। মানববন্ধনের আয়োজন করে বাজুস চট্টগ্রাম শাখা। এই মানববন্ধনেই স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবাকে হত্যার বিচারের দাবিতে কান্নায় ভেঙে পড়ে ৩ শিশু।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বাজুস চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি মৃণাল কান্তি ধর, সাধারণ সম্পাদক প্রণব সাহা, বিশ্বজিৎ সরকার, হাজি নুরুল হক, গৈড়লা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, সুজিত কর্মকার প্রমুখ। এতে উপস্থিত ছিলেন বাজুস চট্টগ্রাম শাখার সহ সভাপতি সিদুল কান্তি ধর, দীলিপ কুমার ধর, লিটন কুমার ধর, বিপ্লব বসাক, যীশু বণিক, যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ গুহ, কাজল বণিক, অমিত ধর, খোকন ধর, সুকুমার ধর, কোষাধ্যক্ষ প্রতাপ কুমার ধর, কার্যকরী সদস্য শম্ভু ধর, তপন ধর, রাজীব ধর তমাল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিমান ধরের মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। ক্রমান্বয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি শুধু জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে কেন? স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হত্যাকাণ্ড, দোকান ডাকাতি, ছিনতাই ইত্যাদি কোনো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার আমরা আজ পর্যন্ত পাইনি। বিমান ধরের খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর বাজুস চট্টগ্রাম জেলার শাখার সদস্য বিমান ধরকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়। খুনি গ্রেফতার না হওয়ায় এই মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাজুস। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল থেকে চট্টগ্রামের স্বর্ণের দোকান বন্ধ রেখে মিছিল নিয়ে মানববন্ধনে যোগ দেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। ব্যানার নিয়ে যোগ দেন বাজুসের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার নেতারা।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বিমান ধর পটিয়ার ধলঘাট ইউনিয়নের গৈড়লা গ্রামের বাড়িতে মোটরসাইকেলযোগে আসার পথে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার নিহতের ছোট ভাই রিমান ধর বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল