চট্টগ্রাম বন্দরের মেগা প্রকল্প বে-টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে আগামী জানুয়ারিতে। আগামী ২০২৫ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে এবং ২০২৬ সাল থেকে টার্মিনালের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে।
বুধবার বে-টার্মিনালের স্টেক হোল্ডার, বন্দর ব্যবহারকারী ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, বে-টার্মিনাল প্রকল্পে একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনালটি নির্মাণ করবে বন্দর। বাকি দুটি টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া হবে। এরই মধ্যে ৬৮ একর জমি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। বে-টার্মিনাল প্রকল্পের পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং মাল্টিপারপাস টার্মিনালের নকশা, ড্রইং ও প্রাক্কলনে পরামর্শক সেবার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি যৌথভাবে কাজ করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের সাথে বে-টার্মিনাল নির্মাণ কাজের তদারকিও করবে।
তিনি বলেন, বে-টার্মিনাল প্রকল্পে একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ টার্মিনালে জেটি থাকবে ছয়টি। তবে বে-টার্মিনালে মোট ১৩টি জেটি থাকবে। এ টার্মিনালে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি সুবিধা থাকবে। প্রকল্পের পূর্ব দিকে রয়েছে পোর্ট অ্যাকসেস রোড ও রেলপথ। বে-টার্মিনাল চ্যানেলে কোন বাঁক নেই। তাই সেখানে ১০-১২ মিটার ড্রাফটের সর্বোচ্চ ৬ হাজার টিইইউজ বহনক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ বার্থিং করানো সম্ভব হবে। বর্তমানে জোয়ারের সময় গড়ে চার ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের এবং সর্বোচ্চ ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ বন্দরের জেটিগুলোতে ভিড়তে পারে। তবে বে-টার্মিনালে রাত-দিন ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম