আসন্ন কোরবানির ঈদে অপরাধ কর্মকাণ্ড রোধে বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়েছে চট্টগ্রামের প্রশাসন। তিন ভাগে বিভক্ত করে সাজানো হয়েছে পুলিশের নিরাপত্তা পরিকল্পনা। পশু পরিবহন, হাট নিয়ে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে পশু চুরি রোধে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘কোরবানির ঈদকে ঘিরে ঈদের আগে, ঈদের দিন এবং ঈদের পরে এ তিন ভাগে বিভক্ত করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। এরই মধ্যে সিএমপি’র সকল ইউনিট কাজও শুরু করেছে। ঈদের ছুটিতে বাসা বাড়ি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চুরি ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘পশু পরিবহন, পশুর হাট এবং বাসা বাড়ি কেন্দ্রীক নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। জেলার সিংহভাগ এলাকা গ্রামাঞ্চল হওয়ায় পশু চুরি রোধে বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
জানা যায়, কোরবানির ঈদকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে তিন ভাগে বিভক্ত করেছে চট্টগ্রামের পুলিশ। যার মধ্যে কোরবানির পশু পরিবহন-পশুর হাট, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং আবাসিক এলাকা নিয়ে সাজানো হয়েছে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি কোরবানি পশুর হাটের নিরাপত্তায় থানার নিয়মিত মোবাইল টিমের পাশাপাশি বসানো হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প ও অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম।
জাল নোট শনাক্তকরণে বসানো হয়েছে জাল নোট শনাক্ত মেশিন। নিরাপত্তা জোরদার করতে সাদা পোশাকে পুলিশি ব্যবস্থা, ওয়াচ টাওয়ার, মেডিকেল ক্যাম্প, মানি এস্কর্টের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। পশুবাহী ট্রাক জোরপূর্বক যাতে কোনো হাটে কেউ নিতে বাধ্য না করতে পারে, অনুমোদিত হাট ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে যাতে কেউ পশুর হাট না বসাতে পারে, পশুর হাটের খুঁটি বাণিজ্য এবং পশুবাহী খালি ট্রাক ফেরত যাওয়ার সময় যাত্রী পরিবহন না, এজন্য আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদের সময় বাসা বাড়ি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চুরি ডাকাতি রোধে এবং ঈদ মৌসুমের অপরাধীদের ঠেকাতে সাদা পোশাকে ও ভার্চুয়ালি নজরদারি বাড়ানোসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঈদের চুরিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে চুরি রোধে জোরদার করা হবে টহল।
বিডি প্রতিদিন/এমআই