চট্টগ্রামে কোরবানিদাতারা শেষ সময়ে পশু ক্রয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। শেষ দুই দিনে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় বেশি হয়। এবারও অতীতের পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার নগরের বিভিন্ন হাটে পশু ক্রয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীকাল বুধবার সবগুলো হাটে পশু বিক্রয়ের হিড়িক পড়বে। বাড়বে ক্রেতাদের সমাগম। পুরোদমে চলবে ক্রয়-বিক্রয়। নগরের হাটগুলোর ইজারা প্রদান করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।
চসিক সূত্রে জানা যায়, চসিকের স্থায়ী পশুর হাট তিনটি। এর মধ্যে আছে সাগরিকা গরুর বাজার, বিবিরহাট গরুর হাট ও পোস্তার পাড় ছাগলের বাজার। সাগরিকা ও পোস্তারপাড়ে ইজারাদার নিয়োগ দেওয়া হলেও দুইবার দরপত্র আহ্বান করেও ইজারাদার পাওয়া যায়নি। বর্তমানে বাজারটিতে চলছে খাস কালেকশন। তাছাড়া, অস্থায়ী বাজারের মধ্যে আছে, নগরের খেঁজুরতলা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন খালি মাঠ, পূর্ব হোসেন আহম্মদ পাড়া সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠ, মুসলিমাবাদ টিকে গ্রুপের খালি মাঠ, মুসলিমাবাদ রোডের সিআইপি জসিমের খালি মাঠ, ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের কর্ণফুলী পশুর বাজার (নূর নগর হাউজিং এস্টেট), ৪১নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ, ২৬নং ওয়ার্ডেল বড়পোল সংলগ্ন গোডাউনের পরিত্যক্ত মাঠ, ৩নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের ওয়াজেদিয়া মোড় এবং ৩৯নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের আউটার রিং রোডস্থ সিডিএ বালুর মাঠ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার বাজারে দেশীয় গরুর আধিক্য আছে। নগরের সাগরিকা বাজার, বিবিরহাট, কর্ণফুলী গরু বাজারসহ বড় বাজারগুলোতে অন্যান্য গরুর চেয়ে দেশি গরুর সংখ্যা বেশি। ক্রেতাদের পছন্দও দেশি গরু। এর মধ্যে ৫০ থেকে ৯০ হাজার টাকা দামের গরুর চাহিদা বেশি। মঙ্গলবার বাজারের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চুনতি, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া থেকে নিজস্ব খামারে পালন করা গরু নিয়ে আসা গরু বেশি দেখা যায়। তাছাড়া, উত্তরবঙ্গ থেকেও কিছু গরু এসেছে।
নুর নগর হাউজিং সোসাইটি বাজারের ক্রেতা আবদুল মোমিন বলেন, দেশি গরুগুলো দেখতে সুন্দর ও মায়াময়। তাই আমার পছন্দ দেশি গরু। তাছাড়া এ গরু কিনলে আমাদের স্থানীয় খামারিদের উৎসাহী করা হয়। এর মাধ্যমে দেশীয় খামার শিল্পও বিকশিত হবে। তবে দেশীয় গরুর দাম তুলনামূলক একটু বেশি।
বাজারে আলী আহমদ নামে এক বিক্রেতা বলেন, আমি নিজের গোয়ালে লালন-পালন করে ১০টি গরু বাজারে এনেছি। ইতোমধ্যে পাঁচটি বিক্রি করেছি।
মইজ্জ্যারটেক গরু বাজারের পরিচালক জানে আলম বলেন, গত সোমবার থেকে বিক্রি বাড়ছে। তবে মঙ্গলবার এবং বুধবার বেশি ক্রয়-বিক্রয় হবে। এই বাজারে প্রায় ১৫ হাজার মত গরু আসছে। এখানে দেশি গরুর সংখ্যা বেশি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল