চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম ব্যস্ততম মোড় নিউ মার্কেট। গভীর রাত পর্যন্ত মানুষ ও যানবাহনে ভিড় থাকে এটি। কিন্তু মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে অনেকটাই ফাঁকা মোড়টি। নেই গাড়ির হুড়োহুড়ি, মানুষের ভিড় কিংবা ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের হাঁকডাক। অভিন্ন চিত্র ব্যস্ততম টেরিবাজার, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ, চকবাজারসহ নগরের বিভিন্ন এলাকার। ফলে ব্যস্ততম নগর এখন ফাকা। ঈদকে সামনে রেখে এখন সরব হয়ে ওঠছে গ্রাম।
জানা যায়, মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছে ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি। গত সোমবার ছিল সরকারি অফিস-আদালতের শেষ কর্মদিবস। তাই শেষ কর্মদিবসের দিন বিকাল থেকেই মানুষ পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ছুটছেন গ্রামের দিকে। নাড়ির টানে তারা ছুটছে গ্রামের পানে। এ কারণে গত সোমবার বিকাল থেকেই ট্রেন ও বাস স্টেশনগুলোতে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ১৮টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে যায়। এবার ঈদে প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি যুক্ত করেছে। একই সঙ্গে স্পেশাল ট্রেনও করেছে। তাই এবার ঈদে ট্রেন যাত্রা অনেকটা স্বস্তির হয়েছে।
অলংকার বাস স্টেশনে আশরাফুল ইসলাম নামে নোয়াখালীর এক যাত্রী বলেন, কর্মজীবনে চট্টগ্রামে অবস্থান করি। কিন্তু ঈদ আনন্দ মানেই নিজ গ্রাম। তাই আমি বন্ধের ছুটিতে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি চলে যাই। এটাই আনন্দ।
চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার থেকে সরকারি ছুটি থাকায় সকাল থেকেই স্টেশনে ভিড় বেড়েছে। প্রতিটি ট্রেন যথা সময়ে স্টেশন ছেড়েছে। তবে এবার ছাদে কাউকে উঠতে দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে, ভিড় বেড়েছে বাস স্টেশন এবং নগর থেকে বের হওয়ার মোড়গুলোতে। নগরের কদমতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল, স্টেশন রোড বিআরটিএ স্টেশন, বহদ্দারহাট, শাহ্ আমানত ব্রিজ এলাকা, অক্সিজেন, একে খান, অলংকার মোড়, গরিবুল্লাহ শাহ্ মাজার গেটের দূরপাল্লার বাস কাউন্টারে ঘরমূখী মানুষের ভিড়। তাছাড়া, নগর থেকে বের হওয়ার মুখ- অক্সিজেন, অলংকার মোড়, মোহরা রাস্তার মাথা ও নতুন ব্রিজ এলাকায়ও মানুষের ভিড় লক্ষণীয়।
চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতি বলছে, এবারের ঈদে বাসে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হবে। ২০ হাজারের মতো যাত্রী নগরে আসবেন। আবার চট্টগ্রাম থেকে ৫০ থেকে ৬০টি রুটে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ গাড়ি চলাচল করবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম