ঈদকে ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছে চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলো। কর্ম জীবনের চাপে যাপিত জীবনে বিনোদনের সময় নেই। ঈদকে ঘিরে পরিবার নিয়ে তাই সকলের পরিকল্পনা থাকে দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার পরিবার নিয়ে। ঈদ উল আযহাকে ঘিরে বিনোদনপ্রেমীদের বরণে প্রস্তুত চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলো। করোনা মহামারীর পর ও আর্থিক সংকটে দর্শনার্থী না পেলেও এবার আশানুপাতে দর্শনার্থী আসার সম্ভাবনা দেখছে সংশ্লিষ্টরা।
ফয়’স লেক পার্কের উপ-ব্যবস্থাপক (মার্কেটিং) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, এবার ঈদে দর্শনার্থীদের কাছে এমিউজমেন্ট পার্ক ও সি ওয়ার্ল্ডকে আকর্ষণীয় করতে প্রস্তুতি চলছে। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় দর্শনার্থীদের জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশে খোলা স্থানে তাবু টানিয়ে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ফয়’স লেক বেস্ট ক্যাম্প। এখানে নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীর পাশাপাশি পুরো বিনোদন এলাকায় সিসিটিভির আওতায় রয়েছে।
ঈদকে ঘিরে প্রস্তুতি চলছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত আনোয়ারার পারকি সমুদ্র সৈকত ও পতেঙ্গ সী-বিচে। গত ঈদে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে দৈনিক ৫০ হাজারের বেশি দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে। এবারও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দর্শনার্থী আগমন ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এবার পতেঙ্গা এলাকায় দৃশ্যমান হয়েছে দেশের একমাত্র কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। যেটি দূর থেকে দেখার জন্য বাড়তে পারে দর্শনার্থীদের সংখ্যা। এছাড়াও চট্টগ্রামের বিনোদনপ্রেমিদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান প্রকৃতি আর জীববৈচিত্রের এক অনন্য মিশ্রণ ফয়'স লেক পর্যটন কেন্দ্র। যা চট্টগ্রামের শহুরে কোলাহল থেকে তুলতে পারে অতুলনীয় আনন্দময়। ঈদ উল আজহার উৎসবমুখর দিনটি পরিবার কিংবা বন্ধুরা মিলে সবুজ গাছগাছালি, স্বচ্ছ লেকের জলরাশি আর পাহাড় ঘেরা পরিবেশে কাটাতে পারেন আনন্দ আর ফুর্তিতে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই পার্কে যেমন রয়েছে অত্যাধুনিক রাইডস তেমনই আছে ওয়াটার পার্ক, সুস্বাদু খাবার, আরামদায়ক রিসোর্ট আর এডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য বেসক্যাম্প। ফলে ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে অনেকে আসার পরিকল্পনায় থাকে ফয়’স লেক। নতুন করে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নগরীর ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়ক মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন ডিসি ফ্লাওয়ার পার্কটি। ১৯৪ একর খাস জমি দখলমুক্ত করে এই ফ্লাওয়ার পার্কটি স¤প্রতি গড়ে তোলা হয়েছে। যেখানে শোভা পাচ্ছে শতাধিক রকমের ফুল। এবার ঈদে পার্কটি দর্শনার্থীদের কাছে বেশ নজর কাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়াও প্রস্তুত নগরের পতেঙ্গা এলাকায় অবস্থিত প্রজাপতি পার্ক, কর্ণফুলী নদীর অভয় মিত্র ঘাট, কাজির দেউড়ি শিশু পার্ক, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা পার্ক, আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশু পার্ক, আগ্রাবাদ জাতি তাত্তি¡ক জাদুঘর, হালিশহর সাগর পাড়। নগরীর বাইরেও জেলার ১৫টি উপজেলায় প্রস্তুত একাধিক বিনোদন কেন্দ্র। যার মধ্যে রয়েছে সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সাগরপাড়, চন্দ্রনাথ পাহাড়, মীরসরাইয়ে মহামায়া লেক, আনোয়ারায় পারকি সমুদ্র সৈকত, রাউজানে মহামুনি মন্দির, অনিরুদ্ধ বড়ুয়া অনি শিশু পার্ক, বেতাগী কর্ণফুলী নদীর পাড়, রাউজান রাবার বাগান ও ফটিকছড়ি চা বাগান।
বিডি প্রতিদিন/এএম