চট্টগ্রামে গত কয়েক বছর ধরে চামড়ার দাম পাচ্ছে না কোরবানিদাতারা। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর সে খরা কমেছে। মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরাও এ বছর ১৫০-২০০ টাকায় চামড়া ক্রয় করে বিক্রি করেছে একশত থেকে দেড়শ টাকার মুনাফা নিয়ে। এছাড়াও চামড়া সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে চট্টগ্রামে।
চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবাসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, আজকের দিন পর্যন্ত ৩ লাখ ১৯ হাজার কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করেছি। দামও মোটামুটি আছে। আশা করি সরকার নির্ধারিত মূল্যে আমরা বিক্রি করতে পারব। এছাড়াও বিভিন্ন মাদ্রাসা ও উপজেলা পর্যায়েও চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। ফলে অনেক চামড়া এখানে আসেনি, সরাসরি স্থানীয় পর্যায়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের যুগ্ম মহামচিব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দীন বখতিয়ার বলেন, আমাদের মাদ্রাসায় ইতিমধ্যে এক লাখ পিস চামড়া এসেছে। আমরা তা সংরক্ষণ করে ঢাকায় আমাদের টেনারির সাথে যোগাযোগ করছি।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ীরা এবার চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল সাড়ে তিন লাখ পিস। এর মধ্যে ৩ লাখ ১৯ হাজার পিস চামড়া ইতিমধ্যে আড়তে এসেছে। পাশাপাশি এবার চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি চামড়া সংগ্রহ করেছে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা। সুন্নি তরিকতের এ মাদ্রাসার জন্য জেলা ও নগরে কাজ করেছেন গাউছিয়া কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা। এছাড়াও হাটহাজারী মাদ্রাসাসহ ছোট বড় অনেক মাদ্রাসা ও সংগঠন চামড়া সংগ্রহ করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম