নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে দাম বেড়েই চলেছে। একেক সময়ে একেক পণ্যের দাম বাড়িয়ে ফায়দা লুটছে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা। ফলে একটি পণ্যের দাম কমতে না কমতেই বাড়ছে আরেকটি পণ্যের দাম।
চট্টগ্রামে মরিচের দাম কমে আসলেও এ সপ্তাহে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো আর মুরগির দাম। এছাড়াও প্রায় বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে টমেটো ছিল, দামও কম ছিল। ১০০ থেকে ১২০ টাকা করে বিক্রি করেছি। এখন বাজারে টমেটোর দাম ২০০ টাকার উপরে। দেশে সরবরাহ না থাকায় আমদানি করা টমেটোর দাম বেড়েছে। এরমধ্যে আনা-নেওয়ার খরচ আছে। তাই ২০০ টাকার নিচে বিক্রি করলে লোকসানে পড়তে হবে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ ১৫ দিন আগেও টমেটো কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা করে। সে টমেটো এ সপ্তাহে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি। আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩০ টাকা, পটল ৩০-৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৩৫ টাকা, লাউ ৩৫ টাকা, কাকরোল ৪০ টাকা, তিতকরল ৬০-৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা করে কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও রুই মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, মৃগেল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, কাতল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২৬০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, লইট্টা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, পোপা ২০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চকবাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুরগির ছানার দাম বেড়েছে, যে লেয়ার মুরগিরও দাম বাড়ছে। উৎপাদন না থাকার কারণে দাম বাড়ছে। সামনে হয় তো আরও দাম বাড়তে পারে।
এদিকে, মুরগির মধ্যে লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা। এ সপ্তাহে তা কেজিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে কেজি প্রতি ২০ টাকা করে। গত সপ্তাহে বয়লার মুরগি ছিল কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, এ সপ্তাহে কমে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা করে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত