এখন আগের মতো ভোট ডাকাত নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, আগে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও তা কেউ তথ্য প্রমাণসহ প্রমাণ করতে পারেনি। এখন প্রতিটি ভোট কেন্দ্র সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। শুধুমাত্র ভোটকক্ষের গোপন কক্ষ ছাড়া সবকিছু এখন আমরা নজরদারি করছি।
রবিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের বিফ্রিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে যে সব কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী নির্বাচনের আর বেশি সময় নেই। এরমধ্যে উপ-নির্বাচন হওয়াতে মানুষের আগ্রহ কম। এছাড়াও ভোটের দিন মানুষকে কেন্দ্রে আনা কমিশনারের কাজ নয়, ভোটারের দায়িত্ব। এই কমিশনারের অধীনে নয় শতাধিক নির্বাচন হয়েছে। কেউ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবে না, প্রমাণসহ কেউ সুনির্দিষ্ট অনিয়ম হয়েছে বলে বলতে পারেনি।
জাতীয় নির্বাচনের আগে এটা একটা মহড়া উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে কোন ধরণের ঝুঁকির আশঙ্কা নেই। এরপরও রাজনৈতিক দলগুলোর নানা কর্মসূচি থাকতে পারে। আমরা ছোট ঘটনাকেও প্রাধান্য দিয়ে দেখছি। ঢাকা-১৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাথে যে ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে, সত্য উদঘাটন করে আইনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটাচ্ছে, না হলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য করছে।
সব ভোট কেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে সব ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে। নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের নিরাপত্তায় সাদা পোশাকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আছেন। এরপর আমরা কোনো ঘটনাকে ছোট করে দেখছি না। আমরা বিশেষভাবে সতর্ক আছি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম পার্টির নিবন্ধন বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো নতুন এই দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। তারা সকল কাইটেরিয়া পূরণ করছে, তাদের বিষয়ে আপত্তি থাকলে ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। যদি কোনো দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাহলে কমিশন তা যাছাই বাছাই বিচার বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নিবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল