চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দু’টাই কমেছে। পূর্ণ সময় ও সব বিষয়ে পরীক্ষা হওয়ায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে বলে জানান বোর্ড সংশ্লিষ্টরা।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের দেওয়া ফলাফল যাচাই করে এসব তথ্য জানা যায়।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ বলেন, গতবারের তুলনায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে। কারণ গতবার শুধুমাত্র তিন বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। এবার সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। সে তুলনায় ফলাফল এগিয়েছে। এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে যারা জেএসসি পাস করেছে, অটো পাস তারা এবার এসএসসি পরীক্ষায় সকল বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। যার কারণে ফলাফলে তার প্রভাব পড়েছে।
২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬৯ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এবার ২১৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে। পাস করেছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৬৮ হাজার ৩১৬ জন এবং ছাত্রী ৮৬ হাজার ৫০৩ জন। পাসের হার ৭৮.২৯ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৯.২৪ শতাংশ কম।
ছাত্র পাসের হার ৭৭.৭৫ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় ৯.৫৮ শতাংশ কম এবং ছাত্রী পাসের হার ৭৮.৭২ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় ৮.৯৭ শতাংশ কম।
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে সর্বমোট ১১ হাজার ৪৫০ জন যা গত বছরের তুলনায় ৭ হাজার ২১৪ জন কম। এর মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৪ জন যা গত বছরের তুলনায় ২ হাজার ৭৭১ জন কম এবং ছাত্রী ৬ হাজার ৪৪৬ জন যা গত বছরের তুলনায় ৪ হাজার ৪৪৩ জন কম।
এ বছর বিজ্ঞানে পাসের হার ৯৩.৮৪ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৯৬. ৮১ মানবিকে পাসের হার ৬৫. ৪১ শতাংশ। যা গত বছর ৭৮.৮২ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় পাসের হার ৮২.০৬ শতাংশ যা গত বছর ৯১.৩০ শতাংশ।
বিজ্ঞানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৮৭১ জন, মানবিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪১৭ জন।
চট্টগ্রাম মহানগরে পাসের হার ৮৫.৪৩ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় ৮.৭৮ শতাংশ কম, মহনগর ব্যতীত চট্টগ্রাম জেলায় পাসের ৭৮.১০শতাংশ। মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৮০.৬৫ শতাংশ।
কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৭৭.২৫ শতাংশ, রাঙামাটি জেলায় পাসের হার ৬৭.৯২ শতাংশ, খাগড়াছড়ি জেলায় পাসের হার ৬৮.৩৭ শতাংশ এবং বান্দরবান জেলায় পাসের হার ৭০.৩০ শতাংশ। সকল সূচকেই এ বছর পরীক্ষার্থীরা বিগত বছরের তুলনায় খারাপ ফল করেছে।
জিপিএ-৫ বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এগিয়ে আছে ছাত্রীরা। গত বছরের তুলনায় তাদের জিপিএ-৫ কমেছে ৭ হাজার ২১৪টি। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পিছিয়ে পড়া পার্বত্য এলাকায়ও এবার পাসের হার গত বছরের তুলনায় কমেছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত