চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন দর্শন হচ্ছে সবার জন্য উন্নয়ন। এর জন্য গৃহীত বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচী সঠিকভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুস্থ জনগোষ্ঠীর কাছে এ সকল কর্মসূচির সুফল পৌঁছাচ্ছে কিনা তা নিশ্চিতকরণের জন্য নিয়মিত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সরকারি অর্থ ব্যয় জরুরি। তাছাড়া, বর্তমানে সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় সেবা প্রত্যাশীগণ তার সুফল পাচ্ছে। সেবা প্রত্যাশীদের প্রতি আরও অধিক যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানাই।
বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) এর কার্যালয় নিরীক্ষা ও হিসাব বিভাগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী বিশেষ সেবা কার্যক্রমের প্রথম দিনে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব একাউন্স এসএম মনজুর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. মোসাদ্দেক, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আব্দুল ওয়ারীশ, কাস্টম হাউজের জয়েন্ট কমিশনার মোহাম্মদ নাজিউর রহমান মিয়া, পুলিশ সুপার (পিবিআই) নাইমা সুলতানা, কর অঞ্চল-৪, চট্টগ্রাম এর অতিরিক্ত কর কমিশনার জনাব মির্জা মোহাম্মদ মামুন সাদাত, এলজিইডি চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ আল মামুন, গণপূর্ত ইএম বিভাগ-২ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ তামজীদ হোসেন প্রমুখ।
সিএজি কার্যালয়ের চলমান কার্যক্রম সকলের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব একাউন্টস, চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
সভায় চট্টগ্রাম ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব একাউন্স এসএম মনজুর আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুরদর্শিতার ফসল হিসেবে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল এর কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১১ মে বাংলাদেশের প্রথম কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) নিযুক্ত করা হয়, যা ছিল সামগ্রিক সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনায় জনগণের স্বার্থ সুরক্ষিত করার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
সভায় জানানো হয়, হেল্প ডেস্কে ফোন কলের মাধ্যমে পেনশন সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান এবং সিএএফও, পেনশন ও ফান্ড ম্যানেজমেন্ট এর ওয়েবসাইট থেকে তাৎক্ষণিকভাবে পেনশন সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোবাইল এপসের মাধ্যমে পেনশনারগণ যাতে ঘরে বসেই লাইফ ভেরিফিকেশন করতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকাসহ সকল বিভাগ, জেলা পর্যায় পর্যন্ত হিসাবরক্ষণ অফিস হতে সরকারি অর্থ পরিশোধে ইএফটির পাশাপাশি Magnetic Ink Character Recognition (MICR) চেকের ব্যবহার এবং সরকারি অর্থ কোষাগারে জমাদানের ক্ষেত্রে অটোমেটেড চালান ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে সরকারের ক্যাশ ম্যানেজমেন্টকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম
